অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা। ছবি: রয়টার্স।
শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধন মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট গোতাবায় রাজাপক্ষেকে জরুরি ভিত্তিতে পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকার পরামর্শ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
শ্রীলঙ্কায় জারি হল সেনা শাসন। সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সেনা এবং পুলিশের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হল।
শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার অর্জুন রণতুঙ্গা বলেন, “শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন মানুষ। কিন্তু তাঁদের উপর যে ভাবে আক্রমণ করা হল তা অপ্রত্যাশিত। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। বিভোক্ষকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেনি। যদি ঠিক মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হত, তা হলে এই ঘটনা ঘটত না।”
সেনার এক শীর্ষ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেন, “বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন লক্ষ্য করে অন্তত ১০টি পেট্রলবোমা ছুড়েছে বিক্ষোভকারীরা।”
সোমবারের ঘটনার পর থেকেই থমথমে রাজধানী কলম্বো। ওই দিন কার্ফু উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। দোকান, বাড়ি, সরকারি কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হামলা চালানো হয় সরকারপক্ষের এমপি এবং নেতাদের বাড়িতে।
হিংসায় উস্কানি এবং সোমবার সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যুতে রাজপক্ষকে গ্রেফাতরের দাবি তুলেছেন বিরোধী দলের নেতারা।
মঙ্গলবার সকালে রাজপক্ষের সরকারি বাসভবন ঘিরে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। বিশাল সংখ্যক সেনা রাজপক্ষের বাসভবনে পৌঁছে সপরিবার তাঁকে উদ্ধার করে। সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে সেনার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীরা বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের গেট ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ভোরেই সপরিবার রাজাপক্ষেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে খোলসা করেননি তিনি। যদিও সূত্রের খবর, ত্রিঙ্কোমালিতে নৌসেনাঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন রাজাপক্ষে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কা জুড়ে। সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে বাঁচতে মঙ্গলবার সকালেই গোপনে সপরিবারে বাসভবন ছেড়ে ত্রিঙ্কামালিতে নৌসেনাঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে।