শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। ফাইল চিত্র ।
কর বৃদ্ধির প্রতিবাদে সরকারের বিরুদ্ধে করা ধর্মঘট কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। মঙ্গলবার কড়া বার্তা দিয়ে দেশে সরকারের বিরুদ্ধে করা ধর্মঘট নিষিদ্ধের নির্দেশ শ্রীলঙ্কা সরকারের। এখনও আর্থিক সঙ্কট থেকে পুরোপুরি বেরোতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। তার মধ্যেই সম্প্রতি সে দেশের সরকার আয়কর থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের বিলে কর বৃদ্ধি করেছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দও কমিয়েছে সরকার। আর তার জেরেই নতুন করে জনরোষ তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি সংগঠন।
ব্যাঙ্ক এবং সরকারি হাসপাতালের কর্মী-সহ ৪০ টিরও বেশি ট্রেড ইউনিয়ন জানিয়েছে, জানুয়ারি থেকে দ্বিগুণ হারে কর বৃদ্ধি প্রতিবাদে তারা ধর্মঘটে বসবে না।
তবে বিক্রমসিঙ্ঘের কার্যালয় মঙ্গলবার স্পষ্ট করেছে যে, ট্রেড ইউনিয়নের সংগঠন মানুষের জীবনযাপনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আর সেই কারণেই কোনও সংগঠন ধর্মঘট করতে পারবে না বলে নির্দেশ শ্রীলঙ্কা সরকারের।
কোনও সংগঠন বা কোনও মানুষ সাধারণের কাছে প্রয়োজনীয় পরিষেবা পৌঁছনোর পথে বাধার সৃষ্টি করে তা হলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে চরম অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই সঙ্কট ২০২৬-এর আগে কোনও ভাবেই কাটবে না। অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে এর আগে সরকারে থাকা রাজাপক্ষে পরিবারের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করেছে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে নতুন সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। এর পরই দেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে সরিয়ে প্রেসিডেন্টের পদে বসেন রনিল। এ বার সেই রনিলের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে ক্ষোভ জমছে দেশের মানুষের।