Iran-Israel Conflict

যোগ্য জবাব’ পাবে ইরান, ইজ়রায়েলের লক্ষ্য কি খামেনেই

গত বছর অক্টোবরে গাজ়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাসের সমর্থনে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ঘনঘন হামলা চালাতে থাকে ইরানের সমর্থনপ্রাপ্ত লেবাননের জঙ্গিগোষ্ঠী হিজ়বুল্লা। সম্প্রতি হিজ়বুল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে ইজ়রায়েল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তেল আভিভ শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:২৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

‘সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে ইরান’—ফুঁসে উঠল ইজ়রায়েল। গত কাল ইরানের ১৮০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার জবাবে ইজ়রায়েল জানিয়েছে, তারা চুপ করে বসে দেখবে না। ইরান যা করেছে, তার যথাযোগ্য ‘জবাব’ তারা পাবে। শোনা যাচ্ছে, ইজ়রায়েলের পরবর্তী লক্ষ্য ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি বিবৃতি সে দেশের সরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। তাতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এ বার নিশানা খামেনেই।

Advertisement

গত বছর অক্টোবরে গাজ়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাসের সমর্থনে ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ঘনঘন হামলা চালাতে থাকে ইরানের সমর্থনপ্রাপ্ত লেবাননের জঙ্গিগোষ্ঠী হিজ়বুল্লা। সম্প্রতি হিজ়বুল্লার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে ইজ়রায়েল। লেবাননে তাদের একের পর এক ঘাঁটি ধ্বংস করেছে তারা। হিজ়বুল্লার একাধিক কম্যান্ডার নিহত। লেবাননে প্রাণহানি প্রায় সাতশো ছুঁয়েছে। এ অবস্থায় হিজ়বুল্লার সমর্থনে গত কাল দিনভর ইজ়রায়েলের বিভিন্ন প্রান্ত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। তেহরান দাবি করেছে, তারা তেল আভিভের কাছে তিনটি সামরিক ঘাঁটিকে নিশানা করেছে। এ ছাড়াও ইজ়রায়েলি বিমানঘাঁটি, তাদের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের অফিসেও হামলা চালিয়েছে তারা। বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া গিয়েছে তেল আভিভ, জেরুসালেম ও জর্ডন রিভার ভ্যালিতে। গাডেরা নামে এক শহরে একটি স্কুলের উপরে এসে পড়ে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র। তার ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। ইরানের ‘ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড’-এর দাবি, তাদের ছোড়া ৯০ শতাংশ ক্ষেপণাস্ত্র নিশানায় গিয়ে পড়েছে। তবে ইজ়রায়েলি কর্তৃপক্ষ সগর্বে জানিয়েছেন, আয়রন ডোম বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই আটকে দিয়েছে। এ পর্যন্ত কোনও ইজ়রায়েলির হতাহতের খবর নেই। তবে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে এক প্যালেস্টাইনি প্রাণ হারিয়েছেন।

কালকের হামলার কারণ ব্যাখ্যা করে ইরান জানিয়েছে, গত জুলাই মাসে তাদের দেশে ঢুকে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েকে হত্যা করেছিল ইজ়রায়েল। ওই ঘটনা আসলে ‘ইরানের সার্বভৌমত্বের উপর হামলা’ ছিল। তারই জবাব দেওয়া হয়েছে। হিজ়বুল্লার শীর্ষস্থানীয় নেতা হাসান নাসরাল্লার হত্যা কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে তারা। যে সুরে গাজ়ার যুদ্ধকে ‘আত্মরক্ষার্থে হামলা’ বলছিল ইজ়রায়েল, সেই সুরেই ইরান ইজ়রায়েলকে হামলাকে ‘আত্মরক্ষা’ বলে দাবি করেছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ান বলেছেন, ‘‘ইজ়রায়েলি আগ্রাসনের জবাব।’’ প্রতিপক্ষের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে দিয়ে আরও বলেছেন, ‘‘ইরান যুদ্ধবাজ দেশ নয়, কিন্তু বিপদ বুঝলে তা প্রতিহত করবেই। তবে এটা আমাদের শক্তি প্রদর্শনের একটা ঝলক মাত্র। শুধু এটুকু বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইরানকে উস্কানো ভাল হবে না।’’ চুপ নেই নেতানিয়াহুও। তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘‘ইরান বড় ভুল করেছে। এর দাম ওদের দিতে হবে। যারা আমাদের আক্রমণ করবে, আমরাও তাদের পাল্টা আক্রমণ করব।’’ অন্য দিকে লেবাননে স্থল অভিযানের সময়ে তাদের ৮ জন সেনা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইজ়রায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ক্যাপ্টেন স্তরের অফিসার ইটান ইতজ়াক ওস্টার। হিজ়বুল্লা জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের একটি গ্রামে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে ইজ়রায়েলি সেনার।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement