চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। —ফাইল চিত্র।
ডুবে গিয়েছে চিনের নতুন অত্যাধুনিক পরমাণু শক্তিসম্পন্ন ডুবোজাহাজ। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক এই খবর ফাঁস করেছেন। রীতিমতো অস্বস্তিতে বেজিং।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ নৌ-বাহিনীটি চিনের। ৩৭০টিরও বেশি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে তাদের। একের পর এক অত্যাধুনিক পরমাণু শক্তিসম্পন্ন ডুবোজাহাজ বা সাবমেরিন তৈরি করে চলেছে তারা। আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে থাকা খবর অনুযায়ী, চিনের কাছে ছ’টি পরমাণু ক্ষমতাসম্পন্ন ডুবোজাহাজ ও ৪৮টি ডিজ়েল-চালিত সাবমেরিন রয়েছে। পেন্টাগনের দাবি, ২০২৫ সালের মধ্যে ডুবাজাহাজের বহর বেড়ে ৬৫ হতে পারে, ২০৩৫-এ ৮০। কিন্তু এমন ক্ষমতা প্রদর্শনের মাঝেই মিলল বিপর্যয়ের খবর। নাম-পরিচয় গোপন রেখে এক আমেরিকান আধিকারিক সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, প্রথম সারির ওই ডুবোজাহাজটি উহানের কাছে একটি নৌবন্দরে মে-জুন মাসের মাঝামাঝি কোনও সময়ে ডুবে গিয়েছে। ‘ঝৌ-ক্লাস’ ডুবোজাহাজটি চিনের তৈরি প্রথম ওই প্রজাতির সাবমেরিন।
ওয়াশিংটনের চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তাঁদের দেওয়ার মতো কোনও তথ্য নেই। তিনি বলেন, ‘‘যে ঘটনার কথা বলা হচ্ছে, আমরা তেমন কোনও খবর জানি না। তাই কোনও তথ্যও দিতে পারব না।’’
ডুবোজাহাজটি কী ভাবে ডুবে গেল, কেনই এমন দুর্ঘটনা ঘটল, তার কারণ এখনও অজানা। এ-ও জানা যায়নি, ডুবে যাওয়ার সময়ে সাবমেরিনটিতে পরমাণু-জ্বালানি ছিল কি না। যে আমেরিকান আধিকারিক খবরটি ফাঁস করেছেন, তিনি বলেন, ‘‘চিনা নৌসেনাদের প্রশিক্ষণ, পরিকাঠামোর গুণমান ছাড়াও প্রশ্ন উঠছে, চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ (পিএলএ)-র অভ্যন্তরীণ গোলমাল ও চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিষয়টাকে কী ভাবে দেখছে সে নিয়ে। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে পিএলএ-তে।’’ ওই আধিকারিক আরও বলেন, ‘‘চিন যে এই ঘটনার কথা স্বীকার করবে না, সেটাই স্বাভাবিক।’’
সিঙ্গাপুরের এক চিন বিষয়ক প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ জেমস চার বলেন, ‘‘এই দুর্ঘটনায় পিএলএ নৌবাহিনীর ফার্স্ট-ইন-ক্লাস পরমাণু শক্তিসম্পন্ন ডুবোজাহাজ কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের, এটি চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সর্বাধুনিক প্ল্যাটফর্ম।’’