চোই সাং-মোক। ছবি: রয়টার্স।
আরও এক বার নতুন প্রেসিডেন্ট পেল দক্ষিণ কোরিয়া। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় বার। তবে এ বারও অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের হাতেই দেওয়া হয়েছে দেশ পরিচালনার ভার।
চলতি মাসের গোড়ায় দেশে সামরিক (মার্শাল) আইন কার্যকরের সুপারিশ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন দেশের সদ্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইউল। পার্লামেন্টের এমপিরা তাঁকে দায়িত্ব থেকে সরানোর প্রক্রিয়া (ইমপিচমেন্ট) শুরু করায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হান ডাক-সু-কে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি দক্ষিই কোরিয়ায়। উল্টে ফের হানকেও সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে পার্লামেন্টে। এই পরিস্থিতিতে দেশের দ্বিতীয় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হয়েছেন অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মোক। চোইয়ের অবশ্য আশ্বাস, দেশের এই অশান্ত পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনার সব রকমের চেষ্টা করবেন তিনি।
৬১ বছরের চোই ‘সোল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ল স্কুল’ থেকে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করেছেন। বর্ষীয়ান এই অর্থনীতিবিদ অর্থ মন্ত্রকের
সঙ্গে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্ত। ইউনের মন্ত্রিসভাতেও তাঁর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে দেশের তিনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকছেন চোই— ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী।
আজ নতুন দায়িত্ব নেওয়ার আগেই প্রাথমিক ভাবে দেশের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চোই। ইতিমধ্যেই তিনি ‘এফ৪’ অর্থাৎ একাধিক আর্থিক বিষয়ক দফতরের নেতৃত্বে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যাতে মুখ না ফিরিয়ে নেন, তার জন্য সচেষ্ট চোই। সরকারি ভাবে এখনও কোনও পদক্ষেপ না হলেও চোই আশাবাদী, আগামী দিনে এই অশান্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবেই।