দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে তপ্ত চিন-মার্কিন সম্পর্ক। —ফাইল চিত্র।
নোভেল করোনা নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে তেতে উঠল চিন ও মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। দক্ষিণ চিন সাগরে চিন বেআইনি ভাবে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল আমেরিকা। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে তারা জানিয়ে দিল, দক্ষিণ চিন সাগরের ওই বিতর্কিত এলাকা চিনের উপকূলীয় সাম্রাজ্য নয়।
মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো শনিবার টুইটারে লেখেন, ‘‘মার্কিন সরকারের নীতি জলের মতো পরিষ্কার। দক্ষিণ চিন সাগর চিনের উপকূলীয় সাম্রাজ্য নয়। বেজিং যদি এ ভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করতে থাকে এবং স্বাধীন দেশগুলি সে ব্যাপারে কিছুই না করে, ইতিহাস সাক্ষী চিনা কমিউনিস্ট পার্টি আরও অনেক অঞ্চল দখল করে নেবে। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে বিরোধ মিটিয়ে নিতে হবে।’’
সমগ্র দক্ষিণ চিন সাগর তিনটি দ্বীপপুঞ্জে বিভক্ত। তবে চিন গোটা দক্ষিণ চিন সাগরকেই নিজেদের সার্বভৌম এলাকা বলে দাবি করে। গত কয়েক বছর ধরেই সেখানে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করছে বেজিং। কিন্তু মার্কিন সরকারের দাবি, বেআইনি ভাবে দক্ষিণ চিন সাগরে নিজের কর্তৃত্ব কায়েম করতে গিয়ে চিন অন্য কয়েকটি দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত করছে।
পম্পেয়োর টুইট।
আরও পড়ুন: মৃত্যু ছাড়াল ৩২ হাজার, দেশে করোনা আক্রান্ত প্রায় ১৪ লক্ষ
আরও পড়ুন: ফের ডাক দিল্লিতে, বিজেপিতেই আছি, দাবি মুকুল রায়ের
এ নিয়েই গত এক মাস ধরে দু’দেশের মধ্যে তিক্ততা বেড়েছে। বেজিংকে চাপে রাখতে সম্প্রতি দক্ষিণ চিন সাগরে দু’টি রণতরীও পাঠান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে একটি আবার ভারতীয় নৌবাহিনীর সঙ্গে বঙ্গোপসাগরে যৌথ মহড়াও দেয়। বছরের শেষ দিকে মালাবার উপকূলেও ভারত-মার্কিন নৌমহড়া হওয়ার কথা।