দখলদারি চলছে তালিবান বাহিনীর। ফাইল চিত্র।
পতন ঠেকাতে এ বার তালিবানকে ক্ষমতার ভাগাভাগির প্রস্তাব দিয়েছে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির সরকার। সে দেশের সরকারের একটি সূত্রে এই খবর মিলেছে। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবারই গুরুত্বপূর্ণ গজনী শহরের দখল নিয়েছে তালিবান। শহরের পরিত্যক্ত সেনা ঘাঁটির ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।
গজনী প্রদেশের রাজধানী শহরের অবস্থান কাবুল থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে। সামরিক অবস্থানগত দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই শহর।
কাতারের রাজধানী দোহায় এর আগে একাধিক বার আমেরিকা এবং আফগানিস্তান সরকারের সঙ্গে শান্তি বৈঠক করেছেন তালিবান। শান্তি আলোচনার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী গুলাম ফারুক মাজরো বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘এ বার সরকারের তরফে যুদ্ধ বিরতির জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তালিবান প্রতিনিধিদের।’’ ‘ক্ষমতার ভাগাভাগি’ই সেই ‘সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব’ বলে মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার শুরু করার পরই আফগানিস্তানের একের পর এক এলাকার দখল নিচ্ছে তালিবান। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ক্রমশ পিছু হটছে আফগান সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যেই ১০টি প্রাদেশিক রাজধানী তালিব বাহিনীর দখলে। বুধবার ফারা সিটি, পুল-ই-কুমরি এবং ফৈজ়াবাদ— পশ্চিম ও উত্তর আফগানিস্তানের এই তিনটি প্রাদেশিক রাজধানীর ‘পতন’ হয়।
বুধবার আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতরের এক আধিকারিক আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই দেশের রাজধানী কাবুল তালিবানের দখলে চলে যাবে। ইতিমধ্যেই গনি সরকারের দু’জন মন্ত্রী দেশ ছেড়েছেন বলে পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে। এই পরিস্থিতিতে কন্দহর-কাবুল এক্সপ্রেসওয়ের উপর অবস্থিত গজনী তালিবানের দখলে আসায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে গনি সরকারের যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।