মেতে ফ্রেডেরিকসেন
চার বছর পরে ডেনমার্কে ক্ষমতায় ফিরছে মধ্য-বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা। দেশের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ২৫.৯ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে গিয়েছে তারা। তাদের প্রচারে এ বার অভিবাসন নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে বারবার। তারা বলেছে, ক্ষমতায় এলে অভিবাসনের ক্ষেত্রে নিয়ম কঠোর করা হবে।
সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের নেত্রী মেতে ফ্রেডেরিকসেন বুধবার বলেছেন, তাঁরা ছোট দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জোট গঠন করার পক্ষপাতী নন। তিনি চান, কিছু বিষয়ে দক্ষিণপন্থীদের কাছ থেকে সমর্থন জোগাড় করতে, যেমন, অভিবাসন। আবার অন্য বামপন্থী দলগুলির থেকে সমর্থন চাইবেন সামাজিক কল্যাণের মতো বিষয়ের ক্ষেত্রে। ফ্রেডেরিকসেন জোট গড়তে না চাইলেও বাম-মনস্ক বেশ কিছু দল, যাদের ভোট শতাংশে বেড়েছে, তারা সরকার গড়তে তাঁকে সমর্থন করতে চায়। বাম দলগুলির বক্তব্য, মধ্য-দক্ষিণ দলগুলিকে কোনও সুযোগ দেওয়া যাবে না।
‘জনমোহিনী’ স্লোগান দেওয়া দক্ষিণপন্থী ‘ড্যানিশ পিপলস পার্টি’ ততটা জমি পায়নি এখানে। ইউরোপের অন্য দেশগুলিতে এখন অতি-দক্ষিণ হাওয়া জোরদার হলেও ডেনমার্ক সে পথে হাঁটেনি। পার্লামেন্টে এত দিন দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ছিল ‘ড্যানিশ পিপলস পার্টি’। কিন্তু তাদের ভোট নেমে এসেছে ৯%-এ।
৪১ বছর বয়সি ফ্রেডেরিকসেন জনতার উদ্দেশে বলেছেন, ‘‘আপনারা ডেনমার্ককে নয়া দিশা দেখাতে চেয়েছেন, আপনারা চেয়েছেন ডেনমার্কে নয়া সরকার আসুক।’’ এই প্রথম এত কমবয়েসি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ডেনমার্কে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ‘ড্যানিশ পিপলস পার্টি’-র বহু সমর্থক সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের দিকে ঝুঁকেছেন, কারণ এই দলটি অভিবাসন প্রশ্নে কড়া অবস্থান নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই দল ১৯৮০ এবং ১৯৯০-এ অভিবাসন নিয়ে কট্টরপন্থী অবস্থানেই ছিল। তবে বাম-ঘেঁষা দলগুলির সঙ্গে জোট সরকারে যোগদানের পরে অভিবাসন নিয়ে অবস্থান বদলিয়েছিল তারা। ফের আগের অবস্থানেই ফিরছে তারা। প্রকাশ্যে মুসলিম-বিরোধিতা করে আসা ‘দ্য নিউ রাইট’ নামে একটি নতুন দল। তারাও প্রথম বার প্রার্থী দিয়ে ২.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে পার্লামেন্টে আসন পেতে চলেছে।