ছবি ফেসবুকে শেয়ার হওয়া ভিডিয়োর সৌজন্যে।
অন্ধকার গুহায় ১০ দিন আটকে থাকার পর খোঁজ মিলল তাইল্যান্ডের নিখোঁজ ফুটবল দলের ১৩ জনের। মঙ্গলবার সকালে গুহার মধ্যে ঢুকতে সক্ষম হয় ব্রিটিশ কেভ ডাইভারের একটি দল। ওই দলটিই নিখোঁজ ১৩ জনকে খুঁজে বার করে। তবে প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য এখনও তাদের উদ্ধার করা যায়নি। কী ভাবে উদ্ধার করা যাবে তার ছক কষছে দলটি।
ওই দলেরই এক সদস্য জানান, আটকে পড়া কিশোরদের প্রত্যেকেরই বয়স ১১ থেকে ১৬-এর মধ্যে। ওই দলে তাদের কোচও ছিলেন। তিনিই একমাত্র বড়। ২৫ বছর বয়স তাঁর। গুহার ভিতর ঘুটঘুটে অন্ধকার। আর তার মধ্যেই একটি বড় পাথরের উপর গুটিসুটি মেরে বসেছিল ওই ১৩ জন। প্রত্যেকেরই গায়ে লাল জার্সি। মুখে টর্চের আলো পড়তেই চোখ ঝলসে ওঠে তাদের। ক্ষীণ কণ্ঠে উদ্ধারকারীর কাছ থেকে খাবার চাইছিল কেউ। তো কেউ ‘আজ কী দিন’ জানতে চাইল উদ্ধারকারীর কাছ থেকে। তাইল্যান্ডের নৌবাহিনী এর একটা ভিডিয়ো পোস্ট করেছে ফেসবুকে। ৫ মিনিটের ওই ভিডিয়োয় ধরা পড়েছে সেই মর্মান্তিক দৃশ্য।
উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, সকলেই সুরক্ষিত রয়েছে। তবে দীর্ঘদিন খাবার না খাওয়ায় কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ভিতরে প্রবেশ করে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
দেখুন ভিডিয়ো:
২৩ জুন উত্তর তাইল্যান্ডের থাম লুয়াং ন্যাং খেলতে গিয়েছিল ১২ কিশোর। ২৫ বছর বয়সী কোচ তাদের খেলার প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণ শেষে কোচের সঙ্গেই ওই ১২ কিশোর উত্তর তাইল্যান্ডের থাম লুয়াং ন্যাং নন গুহায় ঘুরতে যায়। কিন্তু হড়পা বাণে গুহার মুখ আটকে গিয়ে ভিতরেই আটকে পড়ে তারা। খোঁজ শুরু হয়। সে দিনই গুহার বাইরে বেশ কয়েকটি সাইকেল দেখতে পান তাইল্যান্ডের ‘ন্যাশনাল পার্ক অথোরিটি’র এক আধিকারিক। তখনই আশঙ্কা করা হয়, এই গুহাতেই ঢুকেছে দলটি।
আরও পড়ুন: তাজপুরে সমুদ্রের জলে বসেই চলছে এ ভাবে মদ্যপান, দেখবে কে!
ন্যাশনাল পার্ক অথোরিটি সূত্রে খবর, গুহাটি বেঁকেচুরে মাটির নীচে নেমে গিয়েছে। গুহাটির মুখেই একটি ছোট নদীও রয়েছে। হঠাৎ হড়পা বাণ আসায় গুহার ভিতরে ওই জল ঢুকে যায়। সে দিন থেকেই পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উদ্ধারে নামে তাইল্যান্ডের নৌবাহিনী। কিন্তু বৃষ্টি এবং অন্ধকার বাধা সৃষ্টি করছিল। গুহায় অক্সিজেনের মাত্রা কম হওয়াতেও সমস্যা হচ্ছিল উদ্ধারকার্যে।