ছবি এপি।
আমেরিকা সফরে অস্বস্তি যেন ইমরান খানের পিছু ছাড়ছে না!
ইমরানকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে গত শনিবার হাজির ছিলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কোনও আধিকারিক। গত কাল ওয়াশিংটন ডিসির অ্যারিনা ওয়ান স্টেডিয়ামে আমেরিকায় বসবাসকারী পাকিস্তানিদের আয়োজিত একটি সভায় বক্তৃতা করেন ইমরান। বক্তৃতা চলাকালীন বালুচিস্তানে পাকিস্তান সেনার নৃশংসতা নিয়ে আচমকাই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এক দল সমাজকর্মী। স্বাধীন বালুচিস্তানের দাবিতে স্লোগানও দেন তাঁরা।
নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী বক্তৃতা করছিলেন ইমরান। আচমকাই দর্শকাসন থেকে এক দল যুবক উঠে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন এবং ‘ইউএসএ-ইউএসএ’ বলে চিৎকার শুরু করেন। তাঁরা বলতে থাকেন, ‘বালুচিস্তান দখল করে রেখেছে পাকিস্তান এবং ধর্ষণই তাদের সম্পদ’। ওই সময় দৃশ্যতই অস্বস্তিতে ইমরান। তবে তিনি বক্তৃতা থামাননি। দর্শকদের একাংশ বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করতেই ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পরে নিরাপত্তা রক্ষীরা গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বাইরে নিয়ে যান।
আমেরিকায় বসবাসকারী বালোচ নাগরিকেরা বহু দিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন, বালুচিস্তানে নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে পাক সেনা, সেখানের বহু মানুষ নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। আমেরিকায় গত দু’দিন ধরে বালুচিস্তানে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন বালোচ নাগরিকেরা। মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট (এমকিউএম)-সহ কিছু সংখ্যালঘু সংগঠন ইমরানের আমেরিকার সফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
এ দিকে, রবিবার ওয়াশিংটনে আমেরিকার প্রবাসী পাকিস্তানিদের উদ্দেশে বক্তৃতায় প্রাক্তন পাক-প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের প্রসঙ্গ টেনে ইমরান জানান, শীতাতপ নিয়ন্ত্রত জেলের মধ্যে ঘরের খাবার থেকে শুরু করে টিভি পর্যন্ত দেখার সুযোগ পাচ্ছেন নওয়াজ। ইমরানের মন্তব্য, ‘‘যে দেশে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র তো দূরের, টিভি পর্যন্ত দেখতে পারে না, সেখানে এ কেমন শাস্তি ভোগ করছেন নওয়াজ!’’ তিনি আরও জানান, তাঁর সরকার দেশে ফিরে নিশ্চিত করবে, যাতে এ ধরনের সুবিধা কোনও অপরাধী না পান। অন্তত ৩০ হাজার প্রবাসী পাকিস্তানি এ দিন জড়ো হয়েছিলেন ক্যাপিটাল অ্যারেনা স্টেডিয়ামে।