স্কালজ়াং রিগজিন। —ফাইল চিত্র।
সর্বোচ্চ শৃঙ্গের পথে সঙ্গে নেই কোনও শেরপা, নেই অক্সিজেন সিলিন্ডার। এ ভাবেই বৃহস্পতিবার ভোরে এভারেস্টের (৮৮৪৮ মিটার) শীর্ষে আরোহণের কৃতিত্ব অর্জন করলেন লে-র বাসিন্দা, ৪২ বছরের স্কালজ়াং রিগজিন।
অক্সিজেন ছাড়াই সর্বোচ্চ শৃঙ্গের শীর্ষে পৌঁছনো প্রথম ভারতীয় হিসেবে নাম রয়েছে ফু দোরজে শেরপার (১৯৮৪ সালে)। তার পরে ভারতীয় হিসেবে এই কৃতিত্ব লাদাখের রিগজ়িনের। এ দিন স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ এভারেস্টের সামিটে পৌঁছন তিনি, একা। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে শেরপা ও অক্সিজেন সিলিন্ডার ছাড়া অন্নপূর্ণা (৮০৯১ মিটার, দশম উচ্চতম) এবং লোৎসের (৮৫১৬ মিটার, চতুর্থ উচ্চতম) সামিটে পৌঁছেছিলেন তিনি, যা ভারতীয় হিসেবে প্রথম।
গত বছরে এভারেস্ট-লোৎসেজয়ী, ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর চিরাগ চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, এ বছর ধৌলাগিরি অভিযানে তাঁর সঙ্গী ছিলেন রিগজ়িন। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে রুটই খোলা যায়নি এ বার। এর পরেই এভারেস্টে যান রিগজ়িন। চিরাগ বলছেন, ‘‘গত কয়েক দিনে এভারেস্টে অত্যধিক ভিড় ছিল। এত ভিড়ে অক্সিজেন ছাড়া এগোনো বিপজ্জনক হত। তাই রিগজিন ক্যাম্প ২-তে বসে অপেক্ষা করেছে। মঙ্গলবার সেখান থেকে ক্যাম্প ৩ যায়। বুধবার বিকেলের দিকে ক্যাম্প ৪ থেকে সামিটের দিকে যাত্রা করে।’’ এ দিনই রিগজিন ক্যাম্প ২-তে নেমে এসেছেন।
প্রসঙ্গত, এভারেস্টে শেরপা ও অক্সিজেনের সাহায্য ছাড়া এগিয়ে গত বছর নিখোঁজ হন হাঙ্গেরির জ়িলার্দ সুহাজদা। এ বছর একই ভাবে এভারেস্টের শীর্ষ ছুঁয়ে ফেরার পথে মৃত্যু হয় মঙ্গোলিয়ার দুই পর্বতারোহীর। এ দিন অক্সিজেন ছাড়া এগিয়ে কেনিয়ার এক আরোহীর মৃত্যুর খবরও মিলেছে। তবে চিরাগের মতে, আট হাজারি পথে শেরপা ও সিলিন্ডার ছাড়া সামিটের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে রিগজিনের। তাই এই সব খবর তাঁর আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরাতে পারেনি।
এ বারের এভারেস্ট মরশুমে বাংলা থেকে যাওয়া, হুগলির সবিতা মাহাতো অসুস্থতার কারণে ৮৫০০ মিটার থেকে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। অপর বাঙালি অভিযাত্রী, বাংলাদেশের চিকিৎসক-পর্বতারোহী বাবর আলি গত ১৯ এবং ২১ মে যথাক্রমে এভারেস্ট এবং লোৎসের সামিট ছুঁয়েছেন।