International News

পাকিস্তানে খুন শিখ যুবক, সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বন্ধ হোক, বিবৃতি ভারতের

পুলিশ জানিয়েছে, রবীন্দ্র আদপে খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের বাসিন্দা। পেশওয়ারে এসেছিলেন বিয়ের শপিং করতে। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৫৩
Share:

নিহত যুবক রবীন্দ্র সিংহ। ছবি: টুইটার থেকে

নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে হামলার দু’দিন পরেই পাকিস্তানের পেশওয়ারে শিখ যুবককে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রবীন্দ্র সিংহ (২৫) নামে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয় চমকানি থানা এলাকায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ভারত। ‘পরিকল্পিত খুন’ বলে উল্লেখ করে পাক সরকারকে অবিলম্বে এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, রবীন্দ্র আদপে খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের বাসিন্দা। বিয়ে ঠিক হয়েছিল রবীন্দ্রর। সেই উপলক্ষে পেশনওয়ারে বিয়ের কেনাকাটা করতে এসেছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি।

পুলিশ সূত্রে খবর, গুলি করে খুনের পর খুনিই রবীন্দ্রর বাড়িতে খবর পাঠায়। পরিবারের লোকজন ছুটে আসেন পেশওয়ারে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

Advertisement

নিহত রবীন্দ্রর রবীন্দ্রর ভাই হরমিত সিংহ পাকিস্তানের সাংবাদিক। তিনি বলেন, ‘‘শিখ হোক, হিন্দু বা খ্রিস্টান— পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও এবং খুন করা চলছে। ওরা (সরকার) বলে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুরা নিরাপদ। কিন্তু আমাদের প্রায় প্রতিদিন মৃতদেহ তুলতে হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে প্রচুর বিদেশি অনুদান আসে। কিন্তু সেই টাকা কোথায় যায়, তার কোনও হিসেব থাকে না।’’ ভাইয়ের খুনিদের প্রকাশ্যে আনার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

কিন্তু ভারতের দাবি, এটি ‘পরিকল্পিত খুন’। নয়াদিল্লির তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘পেশওয়ারে শিখ যুবকের হত্যা’র তীব্র নিন্দা করছে ভারত। এই ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে পাক সরকারকে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘পাকিস্তানের উচিত বিশ্বের কাছে অন্য দেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে মায়াকান্না না কেঁদে নিজের দেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করা।’’

শুক্রবারই নানাকানা সাহিব গুরুদ্বারে হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুদ্বারের বাইরে জমায়েত হয়ে শিখবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। বাইরে থেকে ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়। অভিযোগ ওঠে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের যদিও দাবি ছিল, গুরুদ্বারের কাছে দু‘টি গোষ্ঠীর গন্ডগোলকে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement