—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত এক শিখ পুলিশকর্মীকে অনুরোধ সত্ত্বেও ধর্মীয় রীতি অবলম্বন করে দাড়ি রাখতে বাধা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, আইন থাকা সত্ত্বেও ওই পুলিশকর্মীকে বাধা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের ঘটনাটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
নিউ ইয়র্কের রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী, কোনও সংস্থা তাদের কর্মীর ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী, যে কোনও পোশাক তাঁরা পরতে পারেন এবং যে কোনও ভাবে ধর্মীয় পন্থায় নিজেকে সাজাতে পারেন। শিখ ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী, পুরুষদের চুল বা দাড়ি কাটতে নেই। মাথায় পাগড়ি পরতে হয়। কিন্তু এই ধর্মীয় সজ্জারীতি অবলম্বন করতে চেয়ে নিউ ইয়র্কের এক পুলিশকর্মী বাধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ।
ওই শিখ পুলিশকর্মীর নাম চরণজ্যোৎ তিওয়ানা। ২০২২ সালে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ে উপলক্ষে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী কিছুটা দাড়ি রাখতে চেয়েছিলেন তিওয়ানা। কর্তৃপক্ষের কাছে আধ ইঞ্চি দাড়ির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, তাঁর সেই আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়।
নিউ ইয়র্ক পুলিশের অভ্যন্তরে কর্মচারীদের জন্য চুল ছোট ছোট করে ছাঁটা এবং গালে এতটুকুও দাড়ি না রাখার নিয়ম প্রচলিত। রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করে এ ক্ষেত্রে কর্মীর ধর্মীয় আবেদন খারিজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
নিউ ইয়র্ক পুলিশের একটি সংগঠন জানিয়েছে, বিয়ের সময় দাড়ি রাখার আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর তিওয়ানা আর পাগড়ি পরার জন্যও আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও দরখাস্ত করার সাহস পাননি। এ ভাবে কর্মীদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যা নানা মহলে সমালোচিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের চোখরাঙানির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ওই সংগঠন।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর নিউ ইয়র্ক পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে গত কয়েক বছরে পুলিশের নিয়ম বেশ খানিকটা শিথিল করা হয়েছে বলে দাবি। ২০২২ সালে একটি আদালত রায় দেয়, নিউ ইয়র্কের নৌবাহিনী পাগড়ি পরিহিত, দাড়ি-সহ কোনও ব্যক্তির বাহিনীতে প্রবেশের অধিকার খর্ব করতে পারে না।