এক-আধটা নয়। ১৫০টিরও বেশি এনকাউন্টারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর নাম। দুষ্কৃতীদের দমনে বরাবরই কঠোর পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের এই আইপিএস অফিসারকে। তাঁর প্রতাপে ভয়ে কাঁপেন দুষ্কৃতীরা। আর এ ভাবে পুলিশ মহল তো বটেই, দেশেও আলাদা করে নজর কেড়েছেন আইপিএস অমিতাভ যশ।
গত কয়েক বছরে উত্তরপ্রদেশে একের পর এক এনকাউন্টারের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাত দুষ্কৃতীর মধ্যে এক জনকে নিকেশ করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ির সামনেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল বহুজন সমাজ পার্টির বিধায়ক রাজু পাল খুনের একমাত্র সাক্ষী উমেশকে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক দুষ্কৃতীকে খতম করা হয়েছিল। ওই অভিযানে বড় ভূমিকা ছিল অমিতাভের।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ-এর এডিজি পদে কর্মরত অমিতাভ। ওই অভিযানের পর আবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন এই উর্দিধারী।
ছোট থেকেই অমিতাভের সঙ্গে খাকি পোশাকের পরিচয় গাঢ় ছিল। তাঁর বাবা রাম যশও পুলিশে কর্মরত ছিলেন।
বিহারের ভোজপুর জেলায় জন্ম অমিতাভের। পটনাতেই পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। পরে দিল্লিতে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন অমিতাভ।
কলেজের পাঠ শেষে অমিতাভের গন্তব্য ছিল আইআইটি কানপুর। সেখান থেকে রসায়ন বিভাগে স্নাতকোত্তর হন তিনি।
১৯৯৬ সালে আইপিএস পাশ করেন অমিতাভ। উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের আইপিএস অফিসার হিসাবে শুরু হয় তাঁর কর্মজীবন।
পুলিশ মানেই দুষ্টের দমন। বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে বার বার তেমনটাই করেছেন এই আইপিএস অফিসার। এসটিএফের প্রধান হিসাবে দুষ্কৃতী কার্যকলাপ রুখতে নানা পদক্ষেপ করেছেন তিনি। শোনা যায়, অমিতাভের হাতযশে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।
একাধিক এনকাউন্টারের সঙ্গে জড়িয়েছে রয়েছে অমিতাভের নাম। যার মধ্যে অন্যতম বিকাশ দুবের এনকাউন্টার। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিকাশের মৃত্যু হয়েছিল। যা ঘিরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এনকাউন্টারে রীতিমতো নজির গড়েছেন অমিতাভ। ১৫০টিরও বেশি এনকাউন্টার চালিয়েছেন ওই আইপিএস।
২০১৭ সালে ক্ষমতায় আসার পরেই কুখ্যাত অপরাধীদের উদ্দেশে ‘ঠোক দুঙ্গা’ নীতি নেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তার পর থেকেই পর পর এনকাউন্টার হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। নিহত হয়েছেন পুলিশের খাতায় নানা ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত শতাধিক ‘অপরাধী’। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সেই এনকাউন্টারগুলির মধ্যে কতগুলি সঠিক, আর কতগুলিই বা ভুয়ো।