জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। —ফাইল চিত্র।
একের পর এক ঘুষি আছড়ে শরীরে। সঙ্গে অকথ্য গালিগালাজ। অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির হাতে এ ভাবেই আমেরিকায় ফের হেনস্থার শিকার হলেন এক শিখ ট্যাক্সি চালক। শিখ সম্প্রদায়ের মর্যাদার প্রতীক পাগড়িটিকেও রেয়াত করেনি ওই ব্যক্তি। খুলে দেওয়া হয় পাগড়ি। জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরের এই ঘটনা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ ভারত।
ঘটনার ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। নিউ ইয়র্কের ভারতীয় কনসুলেট জেনারেল বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য আবেদন জানিয়েছেন আমেরিকান কর্তৃপক্ষের কাছে। আমেরিকান বিদেশ দফতর থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে, অপরাধীকে কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না। আমেরিকান বিদেশ দফতরের টুইট, ‘‘বিদ্বেষমূলক হিংসার অপরাধীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে আমরা দায়বদ্ধ।’’
জো বাইডেনের প্রশাসনের তরফে ঘটনার নিন্দা করে জানানো হয়েছে, উদ্বেগজনক বিষয়। আমেরিকার বিদেশ দফতর জানিয়েছে, বৈচিত্র্যই আমেরিকাকে শক্তিশালী করে তুলেছে। এ ধরনের যে কোনও বিদ্বেষমূলক হিংসা নিন্দনীয়। কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
৪ জানুয়ারি ভিডিয়োটি টুইট করেছিলেন নভজ্যোৎ পাল কউর নামে এক মহিলা। জানিয়েছেন, টুইটটি তাঁর হলেও ভিডিয়োটি অন্য এক জনের তোলা। তাঁর টুইট করার উদ্দেশ্য হল, কী ভাবে সমাজে এখনও জাতিবিদ্বেষ রয়ে গিয়েছে, তা সর্বসমক্ষে তুলে ধরা। কউর জানান, চোখের সামনে শিখ ট্যাক্সি চালককে নির্মম ভাবে নিগ্রহ হতে দেখলাম। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।
এমন ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। আগেও আমেরিকায় নিগ্রহের মুখে পড়তে হয়েছে শিখ ট্যাক্সি চালককে। ২০১৯ সালে ওয়াশিংটনে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক শিখ উবর চালককে মারধরের পাশাপাশি জাতিবিদ্বেষ মূলক মন্তব্যও করা হয়। ২০১৭ সালেও নিউ ইয়র্কে বছর পঁচিশের এক শিখ ট্যাক্সি চালককে মারধর করে তারপর তাঁর পাগড়ি খুলে নেওয়া হয়।
সংবাদ সংস্থা