ছবি: সংগৃহীত।
করোনা-ত্রাসের আবহেও ফের বন্দুকবাজের হামলা আমেরিকায়। এ বার ঘটনাস্থল নিউ ইয়র্ক প্রদেশের রচেস্টার শহর। নিহত দুই, আহত অন্তত ১৪ জন।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, গত কাল রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ একটি বাড়ির পিছনের বাগানে চলতে থাকা পার্টি থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এক অফিসার দেখেন, প্রাণ বাঁচাতে দিশাহীন ভাবে ছুটোছুটি করছেন শ’খানেক মানুষ। পুলিশের দাবি, মোট ১৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের বয়স ১৮ থেকে ২২-এর মধ্যে। এক তরুণ ও তরুণী মারা গেলেও বাকিদের অবস্থা তেমন গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন রচেস্টার পুলিশের কার্যকরী প্রধান মার্ক সিমন্স।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিমন্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে ওই পার্টি চলছিল। কোভিড-আবহে এমন জমায়েত মেনে নেওয়া যায় না। তার উপর দেদার মদ আর গুলি! এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক, লজ্জারও।’’ তবে অনেকটা সময় কেটে গেলেও এই ঘটনায় কেন কেউ ধরা পড়ল না, প্রশ্ন উঠেছে। কারা এই তাণ্ডব চালাল এবং কী কারণে— তা-ও অজানা পুলিশের। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই করোনা-ত্রাসের আবহে এমন জমায়েত হল কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সব মিলিয়ে ফের কাঠগড়ায় রচেস্টার পুলিশ। কৃষ্ণাঙ্গ-নিগ্রহে ঘটনা এবং তা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে চলতি মাসেই রচেস্টার পুলিশের সাত অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া মার্চের ওই ঘটনায় দেখা গিয়েছিল, নগ্ন, হাতকড়া পরানো বছর চল্লিশের নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ যুবক ড্যানিয়েল প্রুডকে রাস্তার উপরে মাথা থেকে গলা পর্যন্ত বস্তা চাপা দিয়ে বসিয়ে রেখেছে পুলিশ। পরে হেফাজতেই মারা যান ড্যানিয়েল। পুলিশ গোড়ায় ‘অতিরিক্ত মাদকসেবনের’ রিপোর্ট দিয়েছিল। কিন্তু ওই বস্তা-চাপা দেওয়ার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রচেস্টারের মেয়রও।