প্রতীকী ছবি।
ধর্ষককে আদালতে তোলার দরকার নেই, পুলিশই গুলি করে মারুক— মঙ্গলবার বাংলাদেশের সংসদের আলোচনায় সরকার ও বিরোধী নির্বিশেষে সদস্যরা এই প্রস্তাব দিয়েছেন। হায়দরাবাদে পুলিশ সন্দেহভাজন ধর্ষককে গুলি করে মারার পরে বিতর্কে উত্তাল হয় ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের সাংসদেরা সেই রাস্তাই ঠিক বলে মনে করছেন।
প্রাক্তন মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘‘ধর্ষকের পৃথিবীতে থাকার কোনও অধিকার নেই।’’ সরকার পক্ষের আর এক সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, ‘‘টুপি-দাড়ি মাথায় নিয়ে আল্লাকে হাজির-নাজির জেনে বলছি, ধর্ষককে ‘ক্রশফায়ার’ (সাজানো সংঘর্ষে খুন) করলে বেহস্তে যাওয়া যাবে।’’ আবার বিরোধী জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘‘সমাজকে ধর্ষণমুক্ত করতে হলে এনকাউন্টার (সাজানো সংঘর্ষে খুন) মাস্ট! আইন লাগে না। লোকে দেখুক, তাদের লাশ পড়ে আছে।’’
সম্প্রতি এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ শুরু হয় ঢাকায়। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করায় তা প্রশমিত হয়। কিন্তু সরকারি হিসেব বলছে, বাংলাদেশে ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। মঙ্গলবার তা নিয়েই আলোচনা হয় সংসদে।