সুয়েজে আটকে পড়া জাহাজ এমভি এভার গিভেন
৬ দিন বন্ধ থাকার পর খুলল সুয়েজ খাল। একটি মালবাহী জাহাজ আটকে পড়ায় গত মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয়ে পড়েছিল এশিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার সংক্ষিপ্ততম এই জলপথ। ফলে আচমকাই থমকে গিয়েছিল ২ মহাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক আদান-প্রদান। দীর্ঘ চেষ্টার পর সোমবার ফের তা চালু হল। জলে ভাসল আটকে পড়া মালবাহী জাহাজ। সুগম হল সুয়েজ।
করোনা পরিস্থিতিতে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ মহাদেশের বাণিজ্যিক সরবরাহ। এর মধ্যে সুয়েজ বন্ধ হওয়ায় রীতিমতো বিপদে পড়েছিল ইউরোপ ও এশিয়ার বাণিজ্য মহল।দৈনিক ৯০০ কোটি ডলারের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছিল তাঁদের। সোমবার সেই বাধা কাটায় স্বস্তি ফিরল বিশ্ববাণিজ্যে।
গত মঙ্গলবার মিশরের সুয়েজ খালে আটকে পড়ে পানামার মালবাহী জাহাজ এমভি এভার গিভেন নামের জাহাজটি। একটি জাপানি সংস্থার মালিকানাধীন এভার গিভেনের দৈর্ঘ্য ৪০০ মিটার। মূলত এশিয়া-ইউরোপের মধ্যেই বাণিজ্যিক সরবরাহের কাজ করে এই জাহাজ। গত মঙ্গলবার সুয়েজের একমুখী সরু রাস্তায় বেকায়দায় পড়েই আটকে যায় জাহাজটি। অগভীর সুয়েজের বালিতে গেঁথে যায় জাহাজের তলদেশ। তাতেই আটকে যায় সুয়েজের গতিপথ। আটকে পড়ে ২ মহাদেশের বহু মালবাহী জাহাজও।
ইউরোপ থেকে জলপথে এশিয়া পৌঁছনোর ‘শর্টকাট’ বলা চলে সুয়েজকে। ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে লোহিত সাগরকে জুড়েছে সুয়েজ। এই পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দৈনিক ৯০০ কোটি টাকার ক্ষতি স্বীকার করতে হচ্ছিল ২ মহাদেশের বাণিজ্যমহলকে। সেই ক্ষতি এড়াতেই গত ৬ দিনে ধরে চলছিল এভার গিভেনকে সরানোর চেষ্টা। শেষে ১০টি টাগবোটের সাহায্যে এভার গিভেনের বোঝা লাঘব করে ড্রেজারের সাহায্যে তাকে ভাসানো হয় জলে।
সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ৪২ মিনিটে ফের জলে ভাসে এভার গিভেন। বার্নার্ড সালটে নাম এক সংস্থা সুয়েজে আটকে পড়া জাহাজগুলিকে উদ্ধারের কাজ করে। এভার গিভেনকে সরানোর কাজও করছিল তারাই। সমস্যার সমাধান যে হয়েছে, সে কথা সোমবার তারাই জানিয়েছে।