ফাইল চিত্র।
আর ন’দিন পরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ নিরাপত্তা বাহিনীর এক অনুষ্ঠানে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করলেন— পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান বাতিল করতে চক্রান্ত করছে একটি প্রভাবশালী শক্তি। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে কিছু কিছু তথ্য পেয়েছি। এমন একটা ঘটনা ঘটানো হবে, যেন ২৫ তারিখে আমরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতেই না পারি। কী করবে তা জানি না।” দেশের সব নিরাপত্তা বাহিনীকে নাশকতা ঠেকাতে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে হাসিনা নজরদারি জোরদার করতে বলেন।
আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্পেশাল সিকিয়োরিটি ফোর্সের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে হাসিনা বলেন, এই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরুর আগে থেকে ‘অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র’ চালাচ্ছে একটি শক্তি। এ ব্যাপারে তিনি বাংলাদেশের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নাম উল্লেখ করেন। বলেন, “ডক্টর ইউনূসের প্ররোচনায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক টাকাটা (পদ্মা সেতু নির্মাণে বরাদ্দ অর্থ) বন্ধ করেছিল। তখন ঘোষণা করেছিলাম, পদ্মা সেতু আমরা নিজের টাকায় করব। সেটা করেছি।” শাসক দলের নেতারা জনান্তিকে বলে এসেছেন, মুহাম্মদ ইউনূস-সহ কয়েক জন প্রভাবশালী বিশেষ উদ্দেশ্যে বিশ্বব্যাঙ্কের কর্তাদের কাছে অপপ্রচার করে পদ্মা সেতুর জন্য প্রতিশ্রুত অর্থসাহায্য বন্ধ করিয়েছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম প্রকাশ্যে ইউনূসের নাম করলেন। প্রতিক্রিয়া জানতে ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তবে তাঁর দফতর থেকে কোনও সাড়া মেলেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কন্টেনার টার্মিনাল, পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেন এবং পদ্মার ফেরিতে একই সঙ্গে অগ্নিকাণ্ড স্বাভাবিক ও দুর্ঘটনা নয় বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে। হাসিনা বলেন, “বিক্ষিপ্ত কয়েকটা জায়গায় এক সাথে আগুন লাগে কী ভাবে? যখনই আমরা এগিয়ে যাই, তখনই নানা ধরনের ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা কোনও কোনও মহল করে থাকে।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।