প্রায় আট সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৫৮ জনের। ছবি: পিটিআই।
‘ওদের গুলি শেষ হয়ে যাবে, তা-ও আমরা আমাদের দাবি থেকে পিছু হঠব না।’ ছ’ফুটের মাটির ব্যারিকেড, তার উপর তৈরি হয়েছে অস্থায়ী পোডিয়াম। তাতে দাঁড়িয়েই সমবেত বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কথাটা ছুড়ে দিলেন বক্তা। পেশায় তাঁরা প্রত্যেকেই ‘কামপাসিনো’ তথা কৃষিজীবী, কিন্তু এখন তাঁদের উদ্দেশ্য একটাই— যেমন করে হোক নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা। প্রায় আট সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত প্রাণ গিয়েছে ৫৮ জনের। তাঁদের মধ্যে এক জন পুলিশ অফিসারও রয়েছেন।
বিক্ষোভের সূচনা হয় ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিয়োকে গ্রেফতার করা হয়। ক্ষমতায় আসেন ভাইস প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে। কাস্তিয়োর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পেরু কংগ্রেস ভেঙে দিতে চেয়েছিলেন। তাঁর গ্রেফতারির পরেই ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠেন পেরুর মানুষ। বিশেষ করে খেপে উঠেছেন কৃষিজীবী, সাধারণ মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষ। যাঁরা কাস্তিয়োর অন্যতম সমর্থক। তাঁদের দাবি, কাস্তিয়ো সরে যাওয়ায় সরকারে তাঁদের হয়ে কথা বলার আর কেউ রইল না। বিক্ষোভ দমনে একাধিক কড়া পদক্ষেপ করেছে বলুয়ার্তে সরকার। এমনকি পর্যটনক্ষেত্র মাচু পিচ্চুও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তাতে বিপাকে পড়েন বহু পর্যটক। বিভিন্ন জায়গায় জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়েছে।
এই অবস্থায় দ্রুত নির্বাচনই কমাতে পারে বিক্ষোভ, এমন ধারণা নতুন প্রেসিডেন্টের। যদিও, তা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে কংগ্রেসের। এমনিতেই পেরুর আগামী নির্বাচন ছিল ২০২৬ সালে। তা এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে ২০২৪-এ। শনিবার ২০২৩ সালে নির্বাচন হোক এই মর্মে আবেদন করেছিলেন দিনা, কংগ্রেস তা বাতিল করেছে।