রুশ হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের শহরে চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: পিটিআই।
ইউক্রেনের সুমিতে পর পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হল শহরের একাংশ। রবিবারের রুশ হামলায় কমপক্ষে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৮৩। রাশিয়ার এই ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিয়ো শেয়ার করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। শুধু তা-ই নয়, এই হামলার ঘটনায় ‘বিশ্বকে কঠোর ভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর’ আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবারের হামলার ঘটনা নিয়ে ইউক্রেন প্রশাসন জানিয়েছে, শহরের কেন্দ্রস্থলে রাশিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। সেই সময় শহরের রাস্তায় অনেকে ছিলেন। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে প্রাণ হারান অনেকে। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, আহত ৮৩ জনের মধ্যে সাতটি শিশু রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জ়েলেনস্কির শেয়ার করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সুমি শহরের রাস্তায় বেশ কয়েক জন মৃতদেহ এবং আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করছেন ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে। চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাচ, কংক্রিটের টুকরো। পোড়া গাড়ি দাঁড়িয়ে রাস্তার উপর। পুড়ে গিয়েছে বহু বাড়িঘরও। সমাজমাধ্যমের পোস্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে। একই সঙ্গে জ়েলেনস্কির আহ্বান, ‘‘বিশ্বকে এই হামলার ঘটনার দৃঢ় প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। আমেরিকা, ইউরোপ এবং যারা যারা এই চলমান যুদ্ধের অবসান চায়, তাদের উচিত এক হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানো। রাশিয়া এই ধরনের সন্ত্রাস জিইয়ে রাখতে চায়। যুদ্ধের অবসান চায় না। যদি রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি না করা হয়, তবে শান্তি ফেরানো সম্ভব নয়।
জ়েলেনস্কির দাবি, ‘‘রাশিয়ার প্রতি এমন মনোভাব দেখানো প্রয়োজন, যা এক জন জঙ্গির প্রাপ্য। যাঁরা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাঁদের সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’
তিন বছর ধরে যুদ্ধ চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের। এখনও পর্যন্ত শান্তি স্থাপনের সব রকম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ইতিমধ্যে, উভয় পক্ষের সঙ্গেই কথা বলেছে আমেরিকা। শান্তিপ্রস্তাবের জন্য নানা প্রস্তাবও দিয়েছে মার্কিন মুলুক। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র মেলেনি।