Pakistan

পাকিস্তানে মসজিদে প্রার্থনার সময় ‘আত্মঘাতী’ বিস্ফোরণে মৃত্যু অন্তত ৬৩ জনের, জখম ১৫০

পাক সংবাদমাধ্যম ‘জিও নিউজ’-এর দাবি, বিস্ফোরণের আগে মসজিদের ভিতরেই ছিলেন আত্মঘাতী বোমারু। নমাজের জন্য জড়ো হওয়া মানুষজনের মধ্যে সামনের সারিতে ছিলেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৪:৫৭
Share:

বিস্ফোরণে মসজিদের ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকেই চাপা পড়েছেন বলে আশঙ্কা পাক প্রশাসনের। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: টুইটার।

পাকিস্তানের পেশোয়ারে একটি মসজিদের ভিতরে প্রার্থনার সময় ‘আত্মঘাতী’ বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম কমপক্ষে ১৫০ জন। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মসজিদের একাংশ ভেঙে পড়েছে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর। ওই ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেকেই চাপা পড়েছেন। যদিও কত জন ওই ধ্বংসস্তূপের নীচে রয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে তা জানা যায়নি। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। আহতদের প্রাণ বাঁচাতে মুসলিম লিগের সকল সদস্যকে রক্তদান করার নির্দেশ দিয়েছেন শরিফ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও একে ‘জঙ্গিহানা’ তকমা দিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার দুপুরে পেশোয়ারের পুলিশ লাইন এলাকায় একটি মসজিদে প্রার্থনার সময় ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার সময় মসজিদে ভিড় করেছিলেন অন্তত ২৬০ জন নাগরিক। এই ঘটনায় কমপক্ষে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। আহত হয়েছেন ১৫০ জন। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা।

পাক সংবাদমাধ্যম ‘জিও নিউজ’-এর দাবি, বিস্ফোরণের আগে মসজিদের ভিতরেই ছিলেন আত্মঘাতী বোমারু। নমাজের জন্য জড়ো হওয়া মানুষজনের মধ্যে সামনের সারিতে ছিলেন তিনি।

Advertisement

মসজিদের নিরাপত্তা আধিকারিকেরা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, প্রার্থনা চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটান ওই দুষ্কৃতী। পেশোয়ারের পুলিশ প্রধান মহম্মদ ইজাজ় খান সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে নমাজের সময় মসজিদে বিস্ফোরণ হয়। খবর পেয়ে মসজিদে পৌঁছেছেন স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকেরা। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।

আহতদের উদ্ধার করে পেশোয়ারের স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ওই হাসপাতালের মুখপাত্র মহম্মদ আসিম খান বলেন, ‘‘ঘটনাস্থল থেকে অনেকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’’ সিকন্দর খান নামে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘বিস্ফোরণের জেরে মসজিদের একাংশ ভেঙে পড়েছে। তার নীচে অনেকেই চাপা পড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।’’ বিস্ফোরণের পর ওই মসজিদের আশপাশের গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ।

একটি বিবৃতিতে গোটা ঘটনার নিন্দা করে পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফ জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে জড়িত দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। আহতদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন শরিফ। নিজের শোকবার্তায় ঘটনার নিন্দা করে দিয়ে টুইট করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান। সেই সঙ্গে পাকিস্তানে ‘ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি’ মোকাবিলায় গোয়েন্দা এবং পুলিশবাহিনীকে শক্তিশালী করার সময় এসেছে বলেও মনে করেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement