বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে চারিদিক। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
ভরদুপুরে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের লাহৌর। সেখানে জোহর শহরে ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। তাতে শিশু এবং মহিলা-সহ এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। গুরুতর জখম হয়েছেন ১৪ জন। মৃতদের মধ্যে এক পুলিশকর্মীও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন বিস্ফোরণের দায় নেয়নি। তবে যে জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে বিশালাকার একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। তাই শক্তিশালী কিছু থেকেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা লাহৌর পুলিশের। যদিও গ্যাসের পাইপলাইন বা সিলিন্ডার ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছে পুলিশ। তবে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, আশোপাশের বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরেছে, গুঁড়িয়ে গিয়েছে জানলার কাচ। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্ফোরণের পর গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন লাহৌরের ডেপুটি কমিশনার মুদাস্সির রিয়াস মালিক।
ঘটনাচক্রে, বুধবার জোহর শহরের যে এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হিসেবে অভিযুক্ত হাফিজ সইদের বাড়ি। তবে এই বিস্ফোরণের সঙ্গে তাঁর কোনও সংযোগ মেলেনি। জখমদের লাহৌরের জিন্না হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণস্থল আপাতত ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। গোটা ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার এবং দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী শেখ রশিদ। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন তাঁরা। আহতদের আরোগ্য কামনা করেছেন।
এর আগে, গত এপ্রিল মাসে লাহৌরের বুরকি এলাকায় তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। সে বার চার ৪ শিশু এবং ১ মহিলার মৃত্যু হয়। জখম হন ১২ জন। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে দু’টো বাড়ি ভেঙে পড়ে। পরে জানা যায়, রাত ভর গ্যাস লিক করেই বিস্ফোরণ ঘটেছে। দু’বছর আগেও প্রতিরক্ষা কর্মীদের বসতি এলাকায় গ্যাস লিক করে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে সে বার হতাহতের খবর মেলেনি।