ছলে-বলে আফগানিস্তানের জমি থেকে ভারতকে হটাতে চাইছে পাকিস্তানি সেনা এবং আইএসআই। তালিবানের মাধ্যমে তারা এ কাজে নেমেছে বলে খবর দিল্লির কাছে। আফগানিস্তানের বাগলান প্রদেশ থেকে ৭ ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারকে অপহরণের পর যে গোয়েন্দা রিপোর্ট এসেছে, তাতে এমনই মনে করছে বিদেশ মন্ত্রক।
সূত্রের খবর, এই অপহরণ কাণ্ডের পিছনে তালিবান রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তারা তা করেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর নির্দেশে। অপহরণের কয়েক দিন আগেই ভারত এবং চিন যৌথ ভাবে আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক প্রকল্প গড়ার কথা ঘোষণা করেছিল। প্রকাশ্যে অবশ্য এ নিয়ে মুখ খুলছে না মন্ত্রক। মুখপাত্র রভিশ কুমারের কথায়, ‘‘বিষয়টি স্পর্শকাতর। ৭ জন অপহৃতের প্রাণ এর সঙ্গে জড়িত। তাই হঠকারী কোনও মন্তব্য এখন করা চলবে না।’’
সূত্রের খবর, বাগলানের যে অংশে ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে প্রবল প্রতিপত্তি তালিবান গোষ্ঠী ‘মোল্লা আখতার মহম্মদ মনসুর ক্যাম্প’-এর। ঘটনাচক্রে গত মাসেরই ২৫ তারিখ একটি ভিডিও প্রকাশ করে এই তালিবান গোষ্ঠী। তাতে দেখা যাচ্ছে এই সংগঠনটি বাগলানে অবাধে অস্ত্র মহড়া চালাচ্ছে। যার নামে এই সংগঠন, সেই মোল্লা আখতার পাকিস্তানের বশংবদ ছিল। সংঘর্ষে তার মৃত্যু ঘটে। এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে অর্থ এবং অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে আইএসআই।
কাবুল সূত্রে নয়াদিল্লিকে বলা হয়েছে— উত্তর আফগানিস্তানের কিছু এলাকায়, বিশেষ করে বাগলানে তালিবানদের রবিন হুড ভাবমূর্তি রয়েছে। তারা স্থানীয় মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে চলে। স্থানীয় মানুষের জন্য কাবুল সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার দাবি করে তালিবানেরা। সেই বাগলান প্রদেশে একটি বিদ্যুতের সাব স্টেশন তৈরির কাজ করছিলেন ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারেরা। সেখানকার উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ভারতীয়দের এই তালিবান গোষ্ঠী নিজে থেকে অপহরণ করবে, এমনটা মনে করছে না কাবুল। আইএসআই-র নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য আফগানিস্তানের মাটিতে ভারতকে চাপে রাখা।