—প্রতীকী চিত্র।
সপ্তাহান্তে গির্জায় প্রার্থনা করতে যাচ্ছিলেন অনেকে। আচমকাই উত্তর ইউক্রেনের চের্নিহিভ শহরের ব্যস্ত রাস্তায় আজ আছড়ে পড়ল রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। ঘটনায় ছ’বছরের একটি শিশু-সহ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৯০ জন জখম। এর মধ্যে ১২টি শিশু রয়েছে। ১০ জন পুলিশ অফিসারও আহতও হয়েছেন। দেড় বছর হল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। গত কালই একটি আমেরিকান সংবাদ সংস্থা তাদের রিপোর্টে দাবি করেছে, ইউক্রেন ও রাশিয়া মিলিয়ে যুদ্ধে ৫ লক্ষের কাছাকাছি সেনা নিহত কিংবা গুরুতর জখম হয়েছেন। সাধারণ মানুষের হতাহতের যথাযথ হিসেব কারও কাছেই নেই।
সুইডেন সফরে গিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। সমাজমাধ্যমে তিনি বলেছেন, ‘‘চের্নিহিভ শহরের প্রাণকেন্দ্রে আছড়ে পড়েছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। একটি স্কোয়ার, একটি পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়, একটি থিয়েটার। একটা সাধারণ শনিবার ছিল, রাশিয়া যন্ত্রণা ও হাহাকারে ভরে দিল।’’ একটি ছোট ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন জ়েলেনস্কি। তাতে দেখা গিয়েছে, স্কোয়ারের একপাশে থিয়েটারের সামনে ধ্বংসস্তূপ পড়ে রয়েছে। অনেকগুলো গাড়ি দাঁড়িয়েছিল। সেগুলি ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। একটি গাড়ির ভিতরে পড়ে রয়েছে প্রাণহীন দেহ। ইউক্রেনের রাজধানী কিভের ১৪৫ কিলোমিটার উত্তরে সবুজে মোড়া শহর চের্নিহিভ। এর আগেও আক্রান্ত হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সাহায্যে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বহু দূরের শহরগুলোতে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া।
ইউক্রেন আগ্রাসনে এসে রুশ বাহিনীও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মস্কোর দিকে কত প্রাণহানি, কত জখম, তা বোঝা বেশ কষ্টকর। তবে এ পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে: রুশ বাহিনীতে ১ লক্ষ ২০ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। ১ লক্ষ ৮০ হাজার জন জখম। ইউক্রেনীয় বাহিনীতে হতাহত তুলনায় কম। ৭০ হাজার নিহত, ১ লক্ষ জখম। রাশিয়ার তুলনায় সংখ্যাটা কম, কিন্তু রুশ বাহিনীর বহরও বড়। দেশটির জনসংখ্যাও ইউক্রেনের তুলনায় অনেক বেশি।