International News

প্রাথর্নাসভার মাঝেই দুই মহিলাকে যৌন নির্যাতন! অস্ট্রেলিয়া গ্রেফতার স্বঘোষিত যোগগুরু

২০১৮-র নভেম্বরে ৩৪ বছর বয়সী ওই মহিলার বাড়িতে এক প্রার্থনাসভায় আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন আনন্দ গিরি। সারা রাত ধরেই সে সভা হওয়ার কথা ছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ১৬:৩৭
Share:

স্বঘোষিত যোগগুরু আনন্দ গিরি। ছবি: আনন্দ গিরির ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।

ছ’সপ্তাহের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন। সোমবারই দেশে ফেরার কথা ছিল। তবে আপাতত ভারতে ফেরা হচ্ছে না স্বঘোষিত যোগগুরু আনন্দ গিরির। উল্টে দু’টি ভিন্ন ঘটনায় যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন তিনি। আনন্দ গিরির বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত দুই অস্ট্রেলীয় মহিলা। তাঁদের দাবি, প্রার্থনাসভা চলাকালীন তাঁদের যৌন নির্যাতন করেছেন এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। সোমবার আদালত জানিয়েছে, আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত আনন্দ গিরিকে পুলিশি হেফাজতে থাকতে হবে।

Advertisement

সিডনি পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সিডনির ওক্সলে পার্কের শহরতলি থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩৮ বছরের এই স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরুকে। তাঁকে ‘দ্য ডেইলি মেল’ সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২০১৬-তে সিডনি ওয়েস্টের রুটি হিল এলাকায় এক মহিলাকে তাঁর বাড়িতে যৌন নির্যাতন করেন আনন্দ গিরি। পুলিশের কাছে ২৯ বছরের ওই মহিলার অভিযোগ, নিউ ইয়ার উপলক্ষে প্রার্থনা করার জন্য আনন্দ গিরিকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ওই মহিলার বাড়িতে। সে রাতে প্রার্থনা চলাকালীন মহিলার বেডরুমে তাঁর যৌন নির্যাতন করে আনন্দ গিরি।

এর দু’বছর পরেও একই ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার আরও এক মহিলা। ২০১৮-র নভেম্বরে ৩৪ বছর বয়সী ওই মহিলার বাড়িতে এক প্রার্থনাসভায় আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন আনন্দ গিরি। সারা রাত ধরেই সে সভা হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, সে সময়ও ওই মহিলার উপর যৌন নির্যাতন চালান আনন্দ গিরি। সিডনি পুলিশের দাবি, ওই দুই মহিলাই আনন্দ গিরির পরিচিত।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রের থাপ্পড়’ মন্তব্যের নিন্দায় সুষমা, সব সীমা লঙ্ঘন করেছেন মমতা, হুঁশিয়ারি বিদেশমন্ত্রীর

আরও পড়ুন: দরজার বেল বাজাতেই কামড়ে দিল সাপ

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পাশে আনন্দ গিরি। ছবি: আনন্দ গিরির ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।

আনন্দ গিরির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠলেও তা মানতে নারাজ অখিল ভারতীয় অখণ্ড পরিষদের সভাপতি নরেন্দ্র গিরি। উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের বড়ে হনুমান মন্দিরের ওই পরিষদের মহন্ত আনন্দ গিরি। পরিষদের সভাপতির দাবি, কোন কারণে মনোমালিন্য হওয়ায় মহন্তকে ফাঁসিয়েছেন ওই দুই মহিলা। নরেন্দ্র গিরির বলেন, “অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের লোকেরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আনন্দ গিরির জামিনের জন্য আবেদনও করা হয়েছে।”

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আরও পড়ুন: বন্ধ খামে সাংবাদিকদের টাকা বিলোনোর ফুটেজ প্রকাশ্যে, বিজেপি বলল, মামলা করব

রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে আনন্দ গিরিকে। ছবি: আনন্দ গিরির ফেসবুক অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।

আধ্যাত্মিক জগতে বিচরণের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও অবাধ যাতায়াত আনন্দ গিরির। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পেজে তাঁর দাবি, মাত্র ১২ বছর বয়সেই আধ্যাত্মিক ডাক পেয়েছিলেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, যোগতন্ত্রের উপরে পিএইচডি ডিগ্রির পড়াশোনা করছেন। ফেসবুক অ্যাকাউন্টের ছবিতে তাঁর সঙ্গে দেখা যায় নামজাদা রাজনীতিকদের। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিংহ থেকে শুরু করে যোগগুরু রামদেব— কে নেই তাতে। তবে এ হেন বিখ্যাত গুরু আনন্দ গিরিই এখন বেকায়দায়। সোমবার তাঁকে নিউ সাউথ ওয়েলসের শহরতলি মাউন্ট ড্রুইট-এর এক স্থানীয় আদালতে তোলা হলে আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত তাঁকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিচারক।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement