সংগৃহীত চিত্র।
উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিং-এ অনুপস্থিতির দেড়শোর গণ্ডি পার করল। বৃহস্পতিবার ছিল কাউন্সেলিংয়ের দ্বিতীয় দিন। সেখানে অনুমোদনপত্র নেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল ৭০৭ জনকে। আর তার মধ্যে অনুপস্থিত রইলেন ১৬১ জন। এঁদের মধ্যে আবার বেশ কয়েক জন কাউন্সেলিংয়ে এসেও চাকরি গ্রহণ করেননি বলে কমিশন সূত্রের খবর।
পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থী মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, "এত সময় নষ্ট হওয়ার ফলে বহু যোগ্য চাকরিপ্রার্থী অন্যত্র চাকরি করছেন। যার ফলে কাউন্সেলিং যত এগোচ্ছে অনুপস্থিতির সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তালিকা তৈরির জন্য অপেক্ষমান প্রার্থীদের দ্রুত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করুক এসএসসি।"
দ্বিতীয় দিনে ডাকা হয়েছিল সাতশোরও বেশি চাকরিপ্রার্থীকে। এর মধ্যে বাংলায় শিক্ষকতা করার জন্য ৩৫০ জনকে এবং ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতার জন্য ৩৫৭ জনকে ডাকা হয়। বাংলায় অনুপস্থিত ও প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা হচ্ছে ৭৭। আর ইংরেজিতে এই সংখ্যা হচ্ছে ৮৪ ।
দু’দিনে মোট ১৪১৪ জনকে ডাকা হয়েছিল কাউন্সেলিং এর জন্য। এর মধ্যে প্রথম দিনে অনুপস্থিত ও প্রত্যাখ্যানের সংখ্যা ছিল ১৪৪। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা ছিল ১৬১। সব মিলিয়ে দু’দিনে ৩০৫ জন চাকরি গ্রহণ করলে না উচ্চ প্রাথমিকদের।
বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় পর্বের কাউন্সেলিং ছিল। ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত টানা চলবে কাউন্সেলিং। পুজোর আগে প্রথম পর্বের তালিকায় ৮,৭৪৯ জনের নাম প্রকাশ করা হয়েছিল। এঁদের মধ্যে কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছিল ৬৫৮ জনকে। যার মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৪৭ জন এবং কাউন্সেলিংয়ে এসেও অনুমোদনপত্র নেননি দু’জন। উপস্থিত ছিলেন মোট ৫০৯ জন।
আইনি জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ থমকে ছিল। এই সময়কালের মধ্যে অনেকে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি করছেন বা কেউ শিক্ষকতার চাকরি থেকে সরে অন্যান্য সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৪ হাজার ৫২ জনের উচ্চ প্রাথমিকের চাকরি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই মতো ধারাবাহিক কাউন্সেলিং করে চলেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনে (এসএসসি)। নতুন করে যাতে আইনি জটিলতা সৃষ্টি না হয়, তার জন্য সংশোধিত শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। এখন দেখার বিষয় নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয় কি না।