Iran Protest

ইরানে বিক্ষোভকারীর গুলিতে হত নিরাপত্তাকর্মী

খবর ছড়াতেই বিক্ষোভস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পাঠায় সরকার। বিক্ষোভ শুরু হলে নিরাপত্তাকর্মীরা তা থামানোর জোর চেষ্টা করতে থাকেন। এর পরেই শুরু হয় দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তেহরান শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৫:৩৪
Share:

মাহসার মৃত্যুর পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইরানের নাগরিকেরা। সেই থেকেই নিয়মিত চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। —ফাইল ছবি।

মাহসা আমিনির মৃত্যুর ১০০ দিন পেরিয়েও চলছে সরকার বিরোধী প্রতিবাদ। আর সেই কর্মসূচি চলাকালীন ইরানে আবারও গুলি লেগে মৃত্যু হল এক নিরাপত্তাকর্মীর। রবিবার সেমিরমের ঘটনা। মাহসার মৃত্যুর পরে প্রতিবাদ চলাকালীন এই নিয়ে মোট তিন জন নিরাপত্তাকর্মী প্রাণ হারালেন।

Advertisement

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহরান থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দূরে সেমিরম ও ইসফাহান অঞ্চলে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন বহু মানুষ। প্রধানত সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলিকে কাজে লাগিয়েই এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয় উদ্যোক্তাদের তরফে। খবর ছড়াতেই বিক্ষোভস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পাঠায় সরকার। বিক্ষোভ শুরু হলে নিরাপত্তাকর্মীরা তা থামানোর জোর চেষ্টা করতে থাকেন। এর পরেই শুরু হয় দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি। নিরাপত্তাকর্মীরা প্রতিবাদীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ছোড়েন। চালানো হয় গুলিও। প্রতিবাদীরাও পাল্টা হাতাহাতিতে জড়ান নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে। এরই মাঝে প্রতিবাদীদের দিক থেকে আসা একটি গুলি এসে লাগে এক নিরাপত্তাকর্মীর গায়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

‘দাঙ্গাবাজদের’ বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে— এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এমনটাই জানিয়েছেইরান সরকার। প্রতিবাদীদের ‘দাঙ্গাবাজ’ বলা ছাড়াও তাদেরধরতে পারলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেওয়া হতে পারে বলেও হুমকি দিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

গত সেপ্টেম্বরে হিজাব না-পরায় ২২ বছরের তরুণী মাহসা আমিনিকে গ্রেফতার করে ইরানের পুলিশ। হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর। অভিযোগ ওঠে, হেফাজতে পুলিশি অত্যাচারের জেরেই মাহসার মৃত্যু হয়েছে। মাহসার মৃত্যুর পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ইরানের নাগরিকেরা। সেই থেকেই নিয়মিত চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি। যার অংশ ছিল এ দিনের এই বিক্ষোভও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement