— ছবি সংগৃহীত
নাগরিকদের দেশে ফেরানোর কাজ সম্পূর্ণ করা নিয়ে হোয়াইট হাউস এবং তালিবান নেতৃত্বের মধ্যে বাদানুবাদ চরমে। এই আবহে আমেরিকার সংবাদপত্র ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ দাবি করা হল, মঙ্গলবারই তালিবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গনি বরাদরের সঙ্গে কাবুলে বৈঠক করে এসেছেন সিআইএ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি) প্রধান উইলিয়াম বার্নস। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে।
তবে বৈঠক আদৌ হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যদি এই বৈঠক হয়ে থাকে, তবে তা কাবুলের পতনের পর আমেরিকা ও তালিবানের মধ্যে হওয়ায় সবচেয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। যদিও সংবাদপত্রের এই দাবি সম্পূর্ণ খারিজ করেছে আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা। সংবাদ সংস্থার তরফে সিআইএ মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘সিআইএ প্রধান কোথায় যাচ্ছেন, না-যাচ্ছেন, তা কখনওই প্রকাশ্যে আনা যায় না।’’
৩১ অগস্টের মধ্যে আমেরিকার সমস্ত সেনা আফগানিস্তান ছাড়বে বলেই তালিবানের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছিল হোয়াইট হাউসের, প্রাথমিক ভাবে এমন খবরই সামনে এসেছিল। গত ১৫ অগস্ট তালিবান বাহিনী কাবুল দখল নিশ্চিত করতেই রাজধানী শহরে বসবাসকারী আমেরিকার নাগরিকেরা আফগানিস্তান ছাড়তে উদ্যত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৭ হাজার নাগরিককে বাইডেন প্রশাসন দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেও এখনও প্রচুর মানুষ আটকে রয়েছেন কাবুলে। তাঁদের প্রত্যেককে দেশে ফেরাতে এবং সেনা প্রত্যাহার সম্পূর্ণ করতে ৩১ অগস্টের বেশি সময় লেগে যাতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তালিবানের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নাগরিকদের দেশে ফেরানোর কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে হবে। সময়সীমা বাড়ানো হবে না। সমঝোতার অন্যথা হলে পরিণাম খারাপ হবে বলেই ব্রিটেনের সংবাদ মাধ্যমে হুমকি দিয়েছেন এক তালিবান মুখপাত্র। তার পরই মঙ্গলবারই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় মধ্যেই এই বিষয়ে বার্তা দেবেন তিনি। তার মাঝেই সামনে এল আমেরিকার সংবাদপত্রের এই রিপোর্ট।