স্কট মরিসন ফাইল ছবি
দীর্ঘ ন’বছর পরে অস্ট্রেলিয়ায় কনজ়ারভেটিভ সরকার তথা লিবারাল-ন্যাশনাল জোটকে পরাস্ত করে ক্ষমতায় আসতে চলেছেন অ্যান্টনি অ্যালবানেজ়ি ও তাঁর দল লেবার পার্টি। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এত দিনের প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের পরাস্ত হওয়ার বহু কারণের মধ্যে অন্যতম হল ভোটারদের প্রতি অ্যান্টনির প্রতিশ্রুতি— ‘বিপ্লবের বদলে নবীকরণ (রিনিউয়াল নট রেভোলিউশন)’। প্রাথমিক গণনায় দেখা যাচ্ছে সরকার গঠন করার জন্য ৭৬ টি আসনের মধ্যে কম পক্ষে ৭২ টি আসন পেয়েছে অ্যালবানেজ়ির দল, যেখানে ৫২ টি আসন পেয়েছে জোট। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই হার স্বীকার করেছেন স্কট মরিসন। লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।
মরিসনের হারের পেছনে আর একটি কারণ হল পরিবেশের উন্নয়নপন্থী, দুর্নীতিবিরোধী ও লিঙ্গসাম্যবাদী একাধিক নির্দল মহিলা প্রতিনিধি। সংবাদমাধ্যমের দাবি, স্কট মরিসনের লড়াই ছিল দুটি যুদ্ধক্ষেত্রে। এক দিকে লেবার পার্টির অ্যালবানেজ়ি, অপর দিকে এই নির্দল মহিলা প্রার্থীরা— যাঁরা ‘টিল’ নামে পরিচিত। গত তিন বছর ধরে অতিমারি, খরা, বন্যা ও দাবানলের সঙ্গে লড়াই করার পর সাধারণ মানুষ এ বার বেছে নিয়েছেন এঁদেরই। শনিবারের গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত জানা গিয়েছে যে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন অ্যালবানেজ়িই, কিন্তু লেবার পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কি না, তা এখনও প্রশ্নের মুখে। আজ, রবিবার ফের গণনা শুরু হবে।
এই প্রসঙ্গে এ দিন ভারতের বিদেশসচিব বিনয় কোয়াত্রা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী খুূব সম্ভবত টোকিয়োয় বৈঠক করবেন। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হবে সেখানে।