Global Warming

বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে সরব বিজ্ঞানীরা, বিতর্কে ‘কপ২৯’

বছর ১৫ আগে ‘নেট জ়িরো’ তত্ত্ব তৈরি করা হয়েছিল। এর অর্থ বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা। এতটাই কম, যা প্রকৃতি শুষে নিতে পারে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সমুদ্র ও জঙ্গল। প্রকৃতির দুই ‘ন্যাচরাল কার্বন সিঙ্ক’— যে পথে কার্বন ধুয়ে বেরিয়ে যায়। এর মধ্যে বায়ুমণ্ডলে গিয়ে মেশা কার্বনের ৫০ শতাংশ শুষে নেয় সমুদ্র। আরও ভেঙে বললে, সমুদ্রে উপস্থিত প্ল্যাঙ্কটন, প্রবাল, মাছ, শৈবাল ও অন্যান্য সালোকসংশ্লেষকারী ব্যাকটিরিয়া। কিন্তু অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের নেতৃত্বে করা একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে যে পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন হচ্ছে, তা সামলানোর জন্য ‘ন্যাচরাল কার্বন সিঙ্ক’-এর উপরে ভরসা করা মূর্খামি হবে। তাতে যা-ই হোক, বিশ্ব উষ্ণায়ন আটকানো যাবে না। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার’ পত্রিকায়।

Advertisement

বছর ১৫ আগে ‘নেট জ়িরো’ তত্ত্ব তৈরি করা হয়েছিল। এর অর্থ বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা। এতটাই কম, যা প্রকৃতি শুষে নিতে পারে। এই তত্ত্বে ‘ন্যাচরাল কার্বন সিঙ্কে’র কথা উল্লেখ ছিল না। বায়ুমণ্ডলের উপস্থিত কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে সামলানোর জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দেশের সরকার কিংবা কর্পোরেট সংস্থাগুলি জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো ও কার্বন নিঃসরণ না-কমিয়ে ‘ন্যাচরাল কার্বন সিঙ্কে’ গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞেরা বিষয়টি নিয়ে ভাবার জন্য সরকারকে বললেও বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

আজ়ারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জলবায়ু সম্মেলন ‘কপ২৯’-এ উন্নয়নশীল দেশগুলোর দাবি ছিল, জলবায়ু পরিবর্তন সামলাতে বছরে অন্তত ১.৩ লক্ষ কোটি ডলার বরাদ্দ করা হোক। কিন্তু উন্নত দেশগুলো চাপ দিয়ে মাত্র ৩০ হাজার কোটি ডলারেই রফা করল, তা-ও আবার ২০৩৫ সাল থেকে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভারতের প্রতিনিধি চাঁদনি রায়না বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিস্থিতি সামলানোর জন্য আমাদের দেশের যা প্রয়োজন, তার কাছে এ সব কিছুই নয়। একেবারে তুচ্ছ।’’ যে উপায়ে ৩০ হাজার কোটিতে রফা করা হয়েছে, তা ‘মঞ্চে সাজানো নাটক’ বলেও বিদ্রূপ করেছেন তিনি। তবে বিরোধিতা করা হলেও চুক্তিটি খারিজ করা হয়নি।

Advertisement

এ বছর জলবায়ু সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট-দেশ আজ়ারবাইজান। চাঁদনি বলেন, ‘‘আমরা প্রেসিডেন্ট-দেশকে, রাষ্ট্রপুঞ্জের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক দফতরের সচিবালয়কে জানিয়েছিলাম, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ বিষয়ে বিবৃতি দিতে চাই। যে অসৎ পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে, তার বিরোধিতা করছি।’’ তাঁকে সমর্থন জানান উন্নয়নশীল দেশগুলির প্রতিনিধিরা ও নাগরিক সমাজের সদস্যেরা। যদিও এত সমালোচনার পরেও চুক্তিপত্রে বদল হয়নি। তবে চিন গোটা পর্বে নীরব ছিল। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে, ৩০ হাজার কোটি ডলারে তাদের সমর্থন রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement