সোলের রাস্তায় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। ছবি: সংগৃহীত
হ্যালোউইনের আগে বিপর্যয় নেমে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোলে। উৎসবের ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। আহতও হয়েছেন বহু। শনিবার রাতের এই বিপর্যয়ের পর সোল জুড়ে এখন শুধুই হাহাকার। ‘ভূতের উৎসব’-এ নেমে এসেছে মৃত্যুর বিষাদ।
শনিবার রাতে সোলে অন্তত ১৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আতঙ্কে মানুষ ছোটাছুটি করছেন, কেউ রাস্তার ধারে আহত ব্যক্তির প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন, আবার কোথাও রাস্তার মাঝেই জমেছে মৃতদেহের স্তূপ— উৎসবমুখর শহর থেকে ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে শনিবার। ঠিক কী থেকে এই বিপর্যয়, তা স্পষ্ট জানা যায়নি।
কোভিড অতিমারির পর সোলে এ বছর বড় করে হ্যালোউইন উদ্যাপনের আয়োজন করা হয়েছিল। আনন্দে সামিল হতে শহরে জড়ো হয়েছিলেন অন্তত হাজার দশেক মানুষ। সোমবার ৩১ অক্টোবর হ্যালোউইন। জানা গিয়েছে, সোলের প্রাণকেন্দ্রে একটি বাজারে কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিলেন মানুষজন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, সোলের আইটেওন জেলায় ওই বাজারে প্রায় লক্ষ লোকের ভিড় হয়েছিল। একটি সঙ্কীর্ণ গলিতে কয়েকশো দোকানের ভিতর বহু ক্রেতা-বিক্রেতা ছিলেন। রাস্তায়ও জমায়েত ছিল। তখনই এই বিপর্যয় ঘটে।
ভিড়ের চাপে আতঙ্কিত হয়ে অনেকে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন বলে সূত্রের দাবি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, ‘‘আমি একটি বারে বসেছিলাম। আমার বন্ধু ফোন করে জানায়, বাইরে সাংঘাতিক কিছু ঘটছে। আমি বাইরে বেরিয়ে দেখি রাস্তায় লোকজন অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন। তাঁদের কৃত্রিম ভাবে শ্বাস প্রক্রিয়া সচল রাখার চেষ্টা চলছে।’’
বিপর্যয়ের খবর পেয়ে উদ্ধারকাজে হাত লাগায় প্রশাসন এবং স্থানীয় মানুষ। প্রাথমিক চিকিৎসার মাধ্যমে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করা হয় অনেকের। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের দেহ চাদর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় রাস্তাতেই।
স্থানীয়দের দাবি সোলের ওই এলাকায় উৎসবের দিন ভিড় থাকেই, কিন্তু শনিবারের মতো বিপর্যয় আগে কখনও হয়নি।