প্রতীকী ছবি।
সৌদি আরবে নতুন করে জারি হল পোশাক ফতোয়া এবং আচরণবিধি। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে আঁটোসাঁটো পোশাক পরা যাবে না এবং চুম্বন করা চলবে না। প্রকাশ্যে শালীনতা ভঙ্গ করলে জরিমানা দিতে হবে।
পোশাক এবং আচরণবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা গত এপ্রিলে অনুমোদন করেছিল সৌদি সরকার। এই সংক্রান্ত ১৯টি বিষয়কে ‘অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ওই দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। কিন্তু জরিমানার পরিমাণ স্পষ্ট করা হয়নি। সৌদির পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে ইংরেজি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘‘নারী-পুরুষ সকলকে পোশাকের ক্ষেত্রে শালীনতা মেনে চলতে হবে। প্রকাশ্যে আলিঙ্গন করা যাবে না।’’ প্রশাসন জানিয়েছে, এই নির্দেশিকার উদ্দেশ্য হল, বিদেশি ও পর্যটকেরা যেন সৌদি আরবের প্রকাশ্য আচরণ বিধি সম্পর্কে অবগত হন। আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া-সহ ৪৯টি দেশ অনলাইনের মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসা পায়।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে কোনও আঁটোসাঁটো পোশাক পরা যাবে না। পোশাকে কোনও ‘অপবিত্র শব্দ বা ছবি’ যেন না থাকে। মেয়েদের কাঁধ এবং হাঁটু ঢাকা পোশাক পরা বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ, গলা থেকে হাঁটুর নীচে পর্যন্ত লম্বা পোশাক পরতে হবে। তবে বিদেশিদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হবে না। এই নির্দেশিকা শুধু আরবের মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে প্রশাসন। নয়া নিয়মে অনেকেই ভীত। নীতি পুলিশির বাড়বাড়ন্তের সম্ভাবনা দেখছেন তাঁরা।
সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন ক্ষমতায় আসার পর সে দেশের মেয়েরা বেশ কিছু ক্ষেত্রে স্বাধীনতা পেয়েছেন। মহিলাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁদের স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার অনুমতিও মিলেছে। এমনকি, সিনেমা হলে মেয়েদের যাওয়ার অনুমতিও দিয়েছে প্রশাসন। সলমনের ওই সিদ্ধান্তগুলিকে সমর্থন জানিয়েছে সৌদির নবীন প্রজন্ম। তবে পোশাক এবং আচরণবিধি নিয়ে নয়া নির্দেশিকার সমালোচনা শুরু হয়েছে।