১০ হাজার কোটি ডলারে ছাড় রাজপুত্রদের

সৌদি প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘টাকা দিয়েই টাকা তোলা হচ্ছে’। অর্থ-কেলেঙ্কারির জরিমানা হিসেবে আদায় করা হচ্ছে ‘অর্থ’ই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

রিয়াধ শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৩৭
Share:

সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। — ফাইল চিত্র

দুর্নীতি দমন অভিযানে নেমেছিলেন সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। জালে উঠেছিলেন ডজনখানেক রাজকুমার, দেশের বহু কোটিপতি ব্যক্তি। রাজকীয় বন্দি, তাই জেলে না পাঠিয়ে তাঁদের রাখা হয়েছিল রিয়াধের রিৎজ-কার্লটন হোটেলে। সৌদি প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘টাকা দিয়েই টাকা তোলা হচ্ছে’। অর্থ-কেলেঙ্কারির জরিমানা হিসেবে আদায় করা হচ্ছে ‘অর্থ’ই।

Advertisement

গত ৪ নভেম্বর যুবরাজের নির্দেশে শুরু হয় তদন্ত। রিয়াধে পাঁচতারা হোটেল রিৎজ-কার্লটনকে রাতারাতি বানিয়ে ফেলা হয়েছিল ‘কয়েদখানা’। সমন পাঠানো হয়েছিল ৩৫০ জনকে। কাউকে কাউকে জেরা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। অনেকে সাক্ষ্য দেন। কেউ কয়েক ঘণ্টা পরে ছাড়া পেয়ে যান, অনেকে আবার সেই থেকে ওই হোটেলের বাসিন্দা।

শোনা যাচ্ছে, অভিযুক্তদের সঙ্গে কথার পরে এ মাসের শেষেই হয়তো রফায় পৌঁছচ্ছে প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, যাঁরা সরকারের দাবি মতো অর্থ দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেওয়া হচ্ছে। বোঝাপড়া করে অন্তত ১০ হাজার কোটি ডলার উঠেছে এরই মধ্যে। অর্থের বিনিময়ে যাঁরা আপস করতে রাজি হননি, তাঁদের আদালতের পথ দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বেশিরভাগ বন্দিই রফায় যেতে রাজি হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তাই ৯০ জন অভিযুক্ত মুক্তি পেয়ে গিয়েছেন রিৎজ-কার্লটন হোটেল থেকে, জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সৌদ আল মোজেব। তবে এখনও ৯৫ জন ‘বন্দি’ রয়েছেন রিয়াধের ওই হোটেলে। তার মধ্যেও ৫ জন কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছেন। বাকিরা তাঁদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখছেন। আল মোজেব বলেন, ‘‘রাজপরিবারের নির্দেশ পরিষ্কার। যাঁরা নিজেদের অপরাধের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন ও বোঝাপড়ায় যেতে রাজি হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেওয়া হবে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement