জেফ বেজোস।
অ্যামাজ়ন-প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের মোবাইল ফোন হ্যাক করার অভিযোগ উঠল সৌদি আরবের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রপুঞ্জের দুই আধিকারিক বুধবার এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করে জানিয়েছেন, তাঁদের হাতে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। সৌদি সরকার ও মার্কিন প্রশাসনকে বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ওই দুই আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা বিবৃতি জারি করে গোটা বিষয়টি পেশ করবেন। জোরদার প্রমাণ-সহ ফরেন্সিক রিপোর্টও তাঁদের হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন। তাঁদের সন্দেহ, কোনও একটি বিপজ্জনক (ভাইরাস আক্রান্ত) ভিডিয়ো হোয়াটসঅ্যাপ করা হয়েছিল বেজোসকে। সেটির মাধ্যমেই হ্যাক করা হয় তাঁর ফোন। এবং ভিডিয়োটি হোয়াটসঅ্যাপ করা হয়েছিল খোদ সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের (এমবিএস) অ্যাকাউন্ট থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি ওই ভিডিয়োটি বেজোসের ফোনে শেয়ার করার পর থেকে তাঁর ফোন থেকে একের পর এক তথ্য বেরিয়ে যেতে শুরু করে। এ ঘটনার তদন্তে নেমে বাইরের বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাতেই তাদের বক্তব্য, বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার।
এ বারে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিটির সঙ্গে সৌদির সম্পর্ক যে একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার পরে এমনিতেই এমবিএসের সঙ্গে বেজোসের সম্পর্ক খারাপ হয়। খাশোগি যে মার্কিন দৈনিকে সাংবাদিকতা করতেন, সেই সংবাদপত্রের মালিক অ্যামাজ়ন। খাশোগি-হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন সৌদি যুবরাজ। এ ক্ষেত্রেও অভিযোগের তির এমবিএসের দিকে। একটি ব্রিটিশ দৈনিক সে খবর প্রথম ফাঁস করে। তারাই প্রথম দাবি করে, যে নম্বরটি থেকে বেজোসের ফোনে মেসেজ এসেছিল, সেই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি এমবিএসের।
আমেরিকার সৌদি দূতাবাস রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টটি খারিজ করে দিয়েছে। তারা টুইটারে জানিয়েছে, ‘‘সম্প্রতি যে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জেফ বেজোসের ফোন হ্যাকিংয়ের পিছনে সৌদি আরব রয়েছে, তা একেবারে ভিত্তিহীন। আমরা তদন্তের দাবি জানিয়েছি, যাতে যাবতীয় সত্যাসত্য প্রকাশ্যে আসে।’’