ছবি সংগৃহীত
মাত্র ২৪ ঘণ্টার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছিলেন, তার মধ্যেই চিনা ভিডিয়ো-অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করতে সই করবেন তিনি। তবে ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এ নিয়ে কোনও প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রশ্ন উঠছিল, তা হলে কি নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন প্রেসিডেন্ট? মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো অবশ্য সব জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এক-এক করে বেশ কয়েকটি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হতে চলেছে আমেরিকায়। তালিকায় সবচেয়ে প্রথমে রয়েছে টিকটকেরই নাম। তবে একই সঙ্গে গত কাল তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা মাইক্রোসফট-ও একটি ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, এই ভিডিয়ো-অ্যাপ কেনার সিদ্ধান্ত থেকে মোটেও পিছু হটছে না তারা। বরং বিষয়টি নিয়ে স্বয়ং ট্রাম্পের সঙ্গে কথা হয়েছে সংস্থার সিইও সত্য নাদেল্লার।
টিকটককে কাজে লাগিয়ে চিনের কমিউনিস্ট সরকার আমেরিকার নাগরিকদের তথ্য চুরি করে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার অ্যাপটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। পম্পেয়ো বলেছেন, ‘‘টিকটক নিয়ে অনেক দিন ধরেই উদ্বিগ্ন ছিলেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু আমেরিকার মানুষ এত দিন ভেবে এসেছেন এটা দিয়ে দারুণ মজা করা যায়। তবে এ ভাবে সব তথ্য তো আর চিনের শাসক দলের হাতে তুলে দেওয়া যায় না। তাঁরা জানতেই পারছেন না, কী ভাবে তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে অন্য দেশের কাছে। তাই প্রেসিডেন্ট টিকটক নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই সেটা হতে চলেছে।’’
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরেই জল্পনা চলছিল, টিকটকের আমেরিকা শাখা কেনার সিদ্ধান্ত থেকে হয়তো পিছিয়ে আসতে চলেছে মাইক্রোসফট। কিন্তু সেই গুজব উড়িয়ে দিয়েছে সংস্থাটির ব্লগ পোস্ট। এক মার্কিন আধিকারিক জানাচ্ছেন, কোনও মার্কিন সংস্থা টিকটক কিনলে তবেই তাতে সায় আছে প্রেসিডেন্টের। ট্রাম্প নিজেও জানিয়েছেন, ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। তার মধ্যেই মাইক্রোসফট বা অন্য কোনও মার্কিন সংস্থাকে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।