পাক-আফগান সীমান্তের উপগ্রহ চিত্র। ছবি— ম্যাক্সার।
দেশ ছাড়ার জন্য কাবুল বিমানবন্দরে আফগানদের জমায়েত এবং হুড়োহুড়ির ছবি দেখেছে বিশ্ব। সেই ছবি ধরা পড়েছিল উপগ্রহ চিত্রেও। সীমান্ত পেরিয়ে সড়ক পথে আফগানদের দেশ ছাড়ার ছবিও ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্রে। তালিবান ক্ষমতায় আসার পর আফগানদের সীমান্ত দিয়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টা বিশ্ববাসীর সামনে উঠে এসেছে। সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে আফগানিস্তানের বিভিন্ন সীমান্তের দৃশ্য। সেখানে দেখা যাচ্ছে তালিবানি শাসন থেকে মুক্তির জন্য আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিক দেশ ছাড়তে কতটা মরিয়া।
আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে রয়েছে চমন সীমান্ত। ওই দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ত সীমান্ত এটি। কয়েকটি উপগ্রহ চিত্রে এই সীমান্তের সাম্প্রতিক অবস্থা ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, উপগ্রহ চিত্রগুলি ৬ সেপ্টেম্বরের। সেগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ওই সীমান্তে প্রচুর আফগান জড়ো হয়েছেন দেশ ছাড়ার জন্য। কাবুল এবং অন্য শহরে ঘরবাড়ি ছেড়েই প্রচুর পরিবার শিশুদের নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য। যদিও ওই সীমান্ত সম্প্রতি বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান।
দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য পাকিস্তান সীমান্তে আফগানদের ভিড়।
একই ছবি দেখা গিয়েছে অন্য সীমান্তেও। আফগানিস্তানের এবং তাজিকিস্তানের মধ্যে থাকা শির খান সীমান্তেও দেশ ছাড়তে চাওয়া আফগানদের ভিড় ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। ইরানের ইসলাম কালা এবং পাকিস্তানের তোরখাম সীমান্তের ছবিটাও একই রকম।
আমেরিকার সেনা প্রত্যাহার শুরু করতেই দীর্ঘ দু’দশক পর আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। দ্বিতীয় জমানায় তালিবান তাদের নীতিতে পরিবর্তনের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তত তালিবদের ‘আসল রূপ’ সামনে আসছে। মহিলাদের অধিকার-সহ বিভিন্ন সামাজিক অধিকারের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তালিবানের কাজকর্মের সঙ্গে তাদের দেওয়া কথার ফারাক রয়েছে বিস্তর। আফগানিস্তানের মাটিতে বসে তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছেন সে দেশের সাধারণ মানুষ। তালিবানি বীভৎসতা থেকে বাঁচতে দেশ ছাড়ার চেষ্টা যে এখনও অব্যাহত রয়েছে, তা ফের দেখাল এই চিত্রগুলি।