sanjay shah

কর্মহীন জীবন থেকে শিখরে, তার পরেও কার্যত নির্বাসিত এই ধনকুবের

এক দশকেরও বেশি সময় আগে কাজ হারিয়েছিলেন সঞ্জয় শাহ। সে সময় তিনি একজন মাঝারি মানের ট্রেডার। বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সঙ্কটের সময় তাঁর মতো অনেকেই তখন কর্মহীন।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ১৫:১০
Share:
০১ ১১

দীর্ঘ ব্য়াঙ্কার জীবন কাটিয়ে কাজ হারান তিনি। তার পর ইনভেস্টমেন্ট ম্য়ানেজমেন্টে নতুন ব্য়বসা শুরু করেন। সেখান থেকেই নতুন যাত্রা শুরু করে শিখরে পৌঁছন সঞ্জয় শাহ। যদিও ধনকুবের হয়েও কার্যত নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন তিনি।

০২ ১১

এক দশকেরও বেশি সময় আগে কাজ হারিয়েছিলেন সঞ্জয় শাহ। সে সময় তিনি একজন মাঝারি মানের ট্রেডার। বিশ্ব জুড়ে আর্থিক সঙ্কটের সময় তাঁর মতো অনেকেই তখন কর্মহীন।

Advertisement
০৩ ১১

সেখানে দাঁড়িয়ে প্রায় শূন্য থেকে শুরু করেছিলেন তিনি। ট্রেডিংয়ের কারবারে এখন তাঁর সম্পত্তি ৭০ কোটি ডলারের। লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক থেকে দুবাই, বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে আছে তাঁর বিশাল সম্পত্তি। তাঁর অটিজম সংক্রান্ত চ্য়ারিটি সংস্থার জন্য ড্রেক, জেনিফার লোপেজ এব‌ং এলটন জন-ও পারফর্ম করেছেন।

০৪ ১১

এই অটিজমের প্রভাব সঞ্জয়ের জীবনে এসেছিল ছোট ছেলে নিখিলের হাত ধরে। ২০১১ সালে ধরা পড়ে নিখিল অটিজম আক্রান্ত। তখনই এই অসুখের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন সঞ্জয়। সে বছরই তিনি দুবাইয়ে থাকতে শুরু করেন।

০৫ ১১

সঞ্জয়ের জন্ম ১৯৭০ সালে লন্ডনে। লন্ডনের কিংস কলেজে তিনি মেডিক্যাল কোর্সে ভর্তি হন। কিন্তু মাঝপথে তিনি সে পাঠ ছেড়ে দেন। পরে তিনি চার্টার্ড অ্য়াকাউন্ট্য়ান্ট হন।

০৬ ১১

কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি সফল ব্যাঙ্কার হিসেবে কাজ করেন। ২০০৮ সালে তিনি কর্মহীন হয়ে পড়েন। তারপর তিনি বিনিয়োগ সংস্থা গড়ে তোলেন। বিশ্বব্য়াপী ব্য়বসা প্রসারিত হলেও অন্যদিকে তিনি জড়িয়ে পড়েছেন বিতর্কের জালে।

০৭ ১১

ডেনমার্ক-সহ বিভিন্ন দেশে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা ঝুলছে। তাঁর আইনজীবীদের সতর্কবাণী, দুবাইয়ের বাইরে অন্য দেশে পা রাখলে তাঁর গ্রেফতার হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। অর্থাৎ ধনকুবের হয়েও সঞ্জয় কার্যত দুবাইয়ে নির্বাসিত।

০৮ ১১

যদিও দুবাইয়ে বিলাসবহুল বাড়িতে বসে হেজফান্ড ম্যানেজার সঞ্জয়ের দাবি, তিনি পুরো ব্যবসা-ই আইনের পথে করেছেন।

০৯ ১১

ডেনমার্কে কাম এক্স কেলেঙ্কারির মূলে রয়েছে সঞ্জয়ের সংস্থা ‘সোলো ক্যাপিটাল পার্টনারস এলএলপি’। কর্ণধার সঞ্জয়ের দাবি, তাঁর সংস্থা বিনিয়োগকারীদের দ্রুত শেয়ার বিক্রি করতে সাহায্য করেছে।

১০ ১১

কোভিড পরিস্থিতিতে ডেনমার্কের আর্থিক পরিস্থিতি এমনিতেই ভেঙে পড়েছে। সেখানে এই বিপুল অঙ্কের আর্থিক তছরুপ তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। বলা হচ্ছে, ডেনমার্ককে লুঠ করা হয়েছে।

১১ ১১

যদিও সঞ্জয়ের অভিযোগ, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগের পাহাড় জমে আছে, তার থেকে মুক্তি চান তিনি। দুবাইয়ে প্রাসাদের মতো বাড়িতে স্ত্রী এবং তিন সন্তানের সঙ্গে সময় কাটালেও পরিস্থিতির সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে তিনি ক্লান্ত, দাবি সঞ্জয়ের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement