রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে দেখা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। টুইটার।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে দেখা করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান নিয়ে ক্রমাগত দিল্লিকে চাপে রেখে চলেছে পশ্চিমের দেশগুলি। এ অবস্থায় দুই মন্ত্রীর সাক্ষাৎ বেশ উল্লেখযোগ্য।
গোটা যুদ্ধ পর্বে বন্ধু দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেনি ভারত। ইউরোপ-আমেরিকার চাপের মুখেও নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে দিল্লি। বরং সাম্প্রতিক কালে রাশিয়া থেকে মূল্য ছাড়ে অপরিশোধিত তেল কেনার ক্ষেত্রে ভারত শীর্ষস্থানে ছিল। একই সঙ্গে ইউক্রেনের সঙ্গেও সম্পর্ক বজায় রেখেছে তারা। গত ২১ মে জাপানের হিরোশিমায় জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আশ্বাস দেন, মস্কো ও কিভের দ্বন্দ্ব মেটাতে যথাসম্ভব চেষ্টা করবে দিল্লি। এ ঘটনার দিন দশেকের মাথায় এ বার লাভরভের সঙ্গে কথা বললেন জয়শঙ্কর। পরে তিনি টুইট করেন, ‘‘রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে দেখা করে ভাল লাগল। ব্রিকস, জি২০, এসসিও বৈঠক, দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’ জুলাই ও তার পর সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে যথাক্রমে এসসিও ও জি২০ সম্মেলন বসবে।
১ থেকে ৬ জুন আফ্রিকায় থাকবেন জয়শঙ্কর। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, তার পর নামিবিয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য কেপটাউনে আয়োজিত ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিদেশমন্ত্রী নালেডি প্যান্ডোরের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন জয়শঙ্কর। ৪ জুন নামিবিয়ার উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা বিদেশমন্ত্রীর। এই প্রথম ভারতের কোনও বিদেশমন্ত্রী নামিবিয়া যাবেন। জয়শঙ্করের এই আফ্রিকা সফর তাই ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পড়শি দেশ চিন যথেষ্ট সক্রিয়তার সঙ্গে আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে। বহু বছর ধরে আফ্রিকার পরিকাঠামো, খনি, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, একাধিক সেক্টরে বিনিয়োগ করে চলেছে। ভারত পিছিয়ে থাকলেও এ বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে।