China

চিনকে ঠেকাতে কথা পম্পেয়ো ও জয়শঙ্করের

প্রকাশ্যে চিনের মতো একটি দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিতে চায়নি মোদী সরকার। বরং নরম গরম নীতি নিয়েই এগোনো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ০৫:২৮
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একচেটিয়া নীতির মোকাবিলা করতে নয়াদিল্লির সঙ্গে সহযোগিতা আরও বাড়াতে চায় ওয়াশিংটন। আজ বিষয়টি নিয়ে টেলিফোনে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে সবিস্তার আলোচনা করেছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। ঠিক তার পরেই সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের সহ-মুখপাত্র কেল ব্রাউন একটি বিস্তারিত বিবৃতিও দিয়েছেন। বলা হয়েছে, ‘গোটা বিশ্বে এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা বাড়াতে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের শক্তিকে ঝালিয়ে নিয়ে‌ছেন বিদেশসচিব পম্পেয়ো এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।’

Advertisement

এমন একটি সময়ে ওই সমুদ্রপথ নিয়ে বিরোধী অক্ষ জোরদার করার চেষ্টা হচ্ছে, যখন সীমান্ত সংলগ্ন গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনা ঘাঁটি গেড়ে বসে। তাদের পিছু হটানো এবং সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য ভারতের পক্ষ থেকে সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে পুরোদমে চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি জলপথে চিনের একাধিপত্য কিছুটা হলেও খর্ব করার জন্য জাপান, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া (কোয়াডভুক্ত রাষ্ট্র)-র সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে ভারত। কোভিড পরবর্তী বিশ্বে বহুপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন করে সাজানোর কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বলছেন। বহুপাক্ষিকতার সংস্কারের কথাও বলছেন। কূটনীতিকদের মতে, কোয়াড-কে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নতুন এক শক্তি হিসেবে তুলে ধরলে, পূর্ব এশিয়ার চিন-বিরোধী ব্লকটিকে (ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ইত্যাদি) পরবর্তী সময়ে একজোট করতে পারবে ভারত। দক্ষিণ চিন সাগরে অন্য রাষ্ট্রগুলির বাণিজ্য পথকে রুদ্ধ করছে বেজিং— এই অভিযোগ দেশগুলির। একাধিক বার তারা ভারতকে চিন-বিরোধী অক্ষের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।

কিন্তু প্রকাশ্যে চিনের মতো একটি দেশের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিতে চায়নি মোদী সরকার। বরং নরম গরম নীতি নিয়েই এগোনো হয়েছে। কিন্তু ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় রক্তপাতের পর, চিন নিয়ে আর নরমপন্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: নামতে গিয়ে পিছলে খাদে, দু’টুকরো বিমান, কেরলে মৃত ১৭

আরও পড়ুন: চিনা আগ্রাসনের নথি গায়েবে মুখে কুলুপ কেন্দ্রের​

মার্কিন মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, আজ জয়শঙ্করের সঙ্গে পম্পেয়োর আলোচনায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সংক্রান্ত নীতি ছাড়াও উঠে এসেছে কোভিড মোকাবিলা, আফগানিস্তান পরিস্থিতি, বছরের শেষে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে ২+২ বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে কথাবার্তাও। মুখপাত্রের কথায়, “সমস্ত রকমের আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে পুরোদমে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে কাজ করা এবং চতুর্দেশীয় (জাপান, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত) আলাপ আলোচনার প্রশ্নে আজ ভারত এবং আমেরিকার নেতারা সহমত হয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement