রাতারাতি লঞ্চপ্যাডগুলির দিকে এগোল রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী। ছবি: রয়টার্স
আবারও ইউক্রেন সীমান্তের কাছে নিজেদের মিসাইল লঞ্চপ্যাডগুলির দিকে এগোল রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী। এমনটাই দেখা গেল স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া নতুন কিছু ছবিতে। আর এই ছবি সামনে আসার পর থেকে আরও জটিল হচ্ছে ইউক্রেন সঙ্কট। ইউক্রেনের উপর আঘাত হানবে না জানানোর পরও রাশিয়ার গতিবিধি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আগেই ছিল আর্ন্তজাতিক মহলে। এর মধ্যে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া এই চিত্রগুলি সামনে আসার পর পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই মনে করা হচ্ছে।
মাক্সার-এর তরফে প্রকাশিত এই ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে ইউক্রেন সীমান্তের কাছে থাকা রাশিয়ার বেলগোরোদ, সোলতি এবং ভালয়ুকি শহরে অস্ত্রসজ্জা সমেত সেনাবাহিনীর সমাবেশ সমাবেশ ঘটাচ্ছে রাশিয়া। তবে এ বার নতুন করে ক্যাম্প বানিয়ে নয়, বরং ইউক্রেন সীমান্তের কাছে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা বেসক্যাম্প এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতেই ঘাঁটি গাড়ছে রাশিয়ার সশস্ত্র সেনা। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকাও।
প্রসঙ্গত, রবিবার পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া ও ফ্রান্স যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় সম্ভাবনার কথা উঠে আসে। জানা গিয়েছিল, রবিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ প্রায় দু’ঘণ্টা টেলিফোনে কথা বলেছেন। ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দু’দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের কথা হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতির কূটনৈতিক সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতেও সম্মত হন তাঁরা। মাকরঁ-র দফতর থেকে জানানো হয়েছে, পুতিন বেলারুশ থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন।
অন্য দিকে ইউক্রেন নিয়ে আলোচনার জন্য যে কোনও সময় সাক্ষাৎ হতে পারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। আমেরিকার একটি টক শোয়ে এমনই জানিয়েছেন সেক্রেটারি অব স্টেটস অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা যা প্রত্যক্ষ করছি, তাতে মনে হচ্ছে এটা (ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনার টহলদারি) অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। যে কোনও মুহূর্তে ইউক্রেনে আক্রমণ হতে পারে।’’
পূর্ব ইউক্রেনে সরকার পক্ষ এবং রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্ঘর্ষ জারি রয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মিন্স্ক প্রোটোকল বাস্তবায়নে রাশিয়া, ইউক্রেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির যে আলোচনা হওয়া উচিত, এ ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন পুতিন ও মাকরঁ। এই প্রোটোকলের মাধ্যমে ২০১৪ সালে পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল রাশিয়া ও ফ্রান্স। মাকরঁ-র দফতর থেকে আরও জানানো হয়, ইউরোপে ‘নতুন করে শান্তি ও সুরক্ষার স্বার্থে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে সম্মত হয়েছে দুই দেশ'।’’