Russian Spy Whale

রাশিয়ার ‘গুপ্তচর’ তিমি হলদিমিরের রহস্যমৃত্যু, দেহ উদ্ধার নরওয়ের সমুদ্রে

১৪ ফুট দৈর্ঘ্য এই তিমি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৯ সালে। গলায় একটি বেল্টের মতো কিছু বাঁধা ছিল তার। তাতে সেন্ট পিটার্সবার্গের কোনও যন্ত্র লাগানো ছিল বলেও বিভিন্ন সূত্রের দাবি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪১
Share:

রাশিয়ার ‘গুপ্তচর’ তিমি হলদিমির। ছবি: সংগৃহীত।

রাশিয়ার ‘গুপ্তচর’ না কি সাধারণ কোনও তিমি! তাকে নিয়ে জল্পনা ছিল বিস্তর। অবশেষে সেই বেলুগা তিমির দেহ উদ্ধার হল নরওয়ের সমুদ্রে। আর তার মৃত্যু ঘিরেও শুরু হয়ে গিয়েছে নানা জল্পনা। ১৪ ফুট দৈর্ঘ্য, ১২০০ কেজি ওজনের এই তিমি প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৯ সালে। গলায় একটি বেল্টের মতো কিছু বাঁধা ছিল তাঁর। তাতে সেন্ট পিটার্সবার্গের কোনও যন্ত্র লাগানো ছিল বলেও বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়। আর তা থেকেই জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি তিমিটিকে সমুদ্রপথে গুপ্তচরবৃত্তির কাজে লাগিয়েছে রাশিয়া?

Advertisement

যদিও রাশিয়ার তরফে এই জল্পনা প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শুধু তাই-ই নয়, তিমি সম্পর্কে একটি বাক্যও ব্যয় করেনি ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। ফলে জল্পনা আরও বেড়েছে। ‘গুপ্তচর’ তত্তব আরও জোরালো হয়েছে। নরওয়ের ‘হল’ এবং রাশিয়ার ‘ভ্লাদিমির’ এই দু’টি শব্দ জুড়ে বেলুগা তিমিটির নাম দেওয়া হয় ‘হলদিমির’। বেলুগা তিমিদের সাধারণত সুমেরু অঞ্চলের দূরসমুদ্রেই দেখা যায়। কিন্তু হলদিমির মানুষের কাছাকাছি থাকতেই ভালবাসত।

গত বছরেও অসলোর একটি ফিয়র্ডে দেখা গিয়েছিল হলদিমিরকে। নরওয়ে প্রশাসন নাগরিকদের অনুরোধ করেছিল, হলদিমিরের কাছাকাছি তাঁরা যেন না যান। নরওয়ের মৎস্য দফতরের অধিকর্তার সন্দেহ যে হেতু অসলো ফিয়র্ডে মানুষের যাতায়াত চলে, তাই কেউ বা কারা হলদিমিরের কোনও ক্ষতি করে থাকতে পারেন। যদিও বিষয়টি স্পষ্ট নয়, কী ভাবে হলদিমিরের মৃত্যু হল। রাশিয়ার ‘গুপ্তচর’ হিসাবে এই তিমি এমনিতেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দীর্ঘ দিন, হঠাৎ করে তার মৃত্যুতে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকেই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement