Russia Ukraine War

রুশ ড্রোন হামলায় ধ্বংস ওডেসার বিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রবল ঠান্ডায় অন্ধকারে ১৫ লক্ষ মানুষ

জনসংখ্যার দিক থেকে ইউক্রেনের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ওডেসার বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। সেই ড্রোন তৈরি হয়েছিল বর্তমানে মস্কোর সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগী ইরানে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

খারকিভ শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:২০
Share:

জল দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আগুন নেভানোর মরিয়া চেষ্টায় ইউক্রেনের দমকল বাহিনী। ছবি: রয়টার্স।

রুশ হামলায় অন্ধকারে ডুবে গেল ইউক্রেনের অন্যতম বর্ধিষ্ণু বন্দর শহর ওডেসা। ইউক্রেনের দক্ষিণ প্রান্তের এই শহরের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। তার পর থেকেই অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে ১৫ লক্ষ মানুষের আবাসস্থল ওডেসা শহর। প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। নেই জল গরম করার সামান্য সুবিধাটুকুও। শনিবার, একটি ভিডিয়ো বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্‌স্কি জানিয়েছেন, রুশ বাহিনী কামিকেজ ড্রোন ব্যবহার করে শহরের বিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করেছে। তার ফলে কৃষ্ণসাগরের তীরে ওডেসা ডুবে গিয়েছে অন্ধকারে।

Advertisement

জনসংখ্যার দিক থেকে ইউক্রেনের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী ওডেসায় অন্তত ১৫ লক্ষ মানুষের বাস। এই বন্দর শহরে রয়েছে হরেক সংস্থার দফতরও। সেখানেই ইরানে তৈরি ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। পশ্চিমের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে মস্কোর সবচেয়ে বড় পরামর্শদাতা এবং সাহায্যকারী তেহরান। সমরাস্ত্র দিয়েও একে অপরকে সাহায্য চলছে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর দাবি, ওডেসা এবং মাইকোলাইভে হামলা চালানোর উদ্দেশে রাশিয়া ১৫টি ড্রোন ছাড়ে। তার মধ্যে ১০টি ড্রোনকে গুলি করে মাটিতে নামিয়েছে ইউক্রেনের সেনা। কিন্তু বাকি পাঁচটির ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। ওই পাঁচটি ড্রোনের হামলার জেরেই কি অন্ধকারে ওডেসা?

Advertisement

প্রসঙ্গত, অক্টোবর থেকে মস্কো ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস হওয়ার ফলে ইতিমধ্যেই দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা অন্ধকারে। শীত পড়ে গিয়েছে। এই গোলার্ধে ঘর গরম রাখা থেকে শুরু করে শীতের প্রয়োজনীয় কাজকর্মের জন্য বিদ্যুতের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু সরবরাহ কেন্দ্রই ধ্বংস হলে, বিদ্যুৎ মিলবে কোথা থেকে?

ওডেসা শহরে আলো নেই। মোমবাতি জ্বালিয়েই কাজ সারতে হচ্ছে ১৫ লক্ষের জনসংখ্যা বিশিষ্ট শহরকে। তার উপর ক্রমশ দাপট বাড়ছে ঠান্ডার। অন্য বছরগুলোয় যেমন জল গরম করা থেকে শুরু করে ঘর গরম রাখার বন্দোবস্ত— সবই চলত বিদ্যুতে, এ বার তা নেই। ফলে ঠান্ডায় কাঁপছেন শহরের মানুষ। প্রেসিডেন্ট জেলেন্‌স্কিও এই অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। ভিডিয়ো বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা। কিন্তু অবস্থা যা, তাতে পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কিছু দিন সময় লেগে যেতে পারে। তত দিন অন্ধকার আর প্রবল ঠান্ডার সঙ্গেই যুদ্ধ জারি রাখতে হবে ওডেসাবাসীকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement