ফাইল চিত্র।
গত কালই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, পশ্চিমি শক্তি ইউক্রেনে যুদ্ধাস্ত্র পাঠানো বন্ধ না করলে রাশিয়ার নিশানা বদল করতে হবে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিভে আছড়ে পড়ল রুশ ক্ষেপণাস্ত্র। রাশিয়ার দাবি, কিভে মজুত বিদেশি অস্ত্র ভান্ডারে হামলা চালানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেন অতি-শক্তিশালী দূরপাল্লার রকেট পাঠানো হচ্ছে ইউক্রেনে। প্রায় ৭০ কোটি ডলারের নিরাপত্তা সাহায্য। তার মধ্যে রকেট ছাড়াও থাকছে হেলিকপ্টার, জ্যাভেলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক সিস্টেম, রেডার ও অন্যান্য অস্ত্রসামগ্রী। ক্ষুব্ধ মস্কো দাবি করে, যুদ্ধাস্ত্র পাঠালে পরিণতি খারাপই হবে। পুতিন এ-ও দাবি করেন, আমেরিকা আসলে চাইছে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করতে। তাই অস্ত্র পাঠিয়ে আগুনে ঘি ঢালছে।
রাশিয়া কিভে মজুত বিদেশি অস্ত্র ধ্বংস করার কথা বললেও ইউক্রেন জানিয়েছে, মস্কোর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র একটি কারখানা চত্বরে গিয়ে পড়েছে। ট্রেনের বিভিন্ন অংশ সারানো হয় ওই কারখানায়। স্থানীয় প্রশাসন সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছে, কোনও সামরিক ঘাঁটি নেই। কোনও ট্যাঙ্ক বা বিদেশ থেকে পাঠানো অস্ত্র মজুত নেই। স্রেফ একটি কারখানা। কিভের দিকে লক্ষ্য করে ক্যাস্পিয়ান সাগর থেকে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি ধ্বংস করে দেয়। বাকি চারটি ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে কিভের কারখানা অঞ্চলে। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই।
পূর্ব ইউক্রেনের দ্রুজ়কিভকাতেও আকাশপথে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বহু আবাসন ধ্বংস করেছে। এ পর্যন্ত এক জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। জখম বহু। ক্ষেপণাস্ত্রের আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। শ্বেতলানা রোমাশকিনা নামে এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘যেন কোনও ভয়ের সিনেমা...।’’ এতেও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বসতি অঞ্চলে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে গিয়েছে। তাদের দাবি, দ্রুজ়কিভকায় যেখানে হামলা করা হয়েছিল, সেখানে একটি অস্ত্রভান্ডার ছিল।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।