ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পুতিন-বিরোধিতার ‘অপরাধে’ অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ফাইল ছবি।
ইউক্রেনে রুশ সেনার অভিযানের বিরোধিতায় ধারাবাহিক ভাবে নেটমাধ্যমে প্রচার চালাচ্ছিলেন তিনি। সমালোচনা করছিলেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসী আচরণের। সেই ‘অপরাধে’ সোমবার রুশ রাজনীতিক তথা মানবাধিকার আন্দোলনের কর্মী ভ্লাদিমির কারা-মুরজাকে ২৫ বছরের জেলের সাজা দিল মস্কোর একটি আদালত।
ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত রুশ মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা তথা প্রাক্তন সাংবাদিক ৪১ বছরের মুরজার পরিচিতি ‘পুতিনের কট্টর সমালোচক’ হিসাবে। ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পুতিন-বিরোধিতার ‘অপরাধে’ অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকের সাজা হয়েছে। আবার অনেকে ভয়ে রাশিয়া ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। রাশিয়া সরকারের ‘শেষ শিকার’ হলেন মুরজা।
মস্কোর আদালতে অবশ্য দোষ স্বীকার করেননি তিনি। বরং সমালোচনা করেছেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আইন বদল করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের। মুরজা সোমবার বলেন, ‘‘আমি এর জন্য অনুতপ্ত নই, বরং গর্বিত।’’ প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পরে পুতিন সরকার নতুন আইন জারি করে জানিয়েছিল, কেউ সেনাবাহিনীর মানহানি করলে ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। রাষ্ট্রের সমালোচনার সাজা আরও বেশি। সে দেশে ধারাবাহিক ভাবে সমাজমাধ্যমের উপর নজরদারি চালিয়ে যুদ্ধবিরোধীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রুশ মানবাধিকার সংগঠনগুলির।