শুক্রবার এমনই এক প্রতিবাদের দৃশ্য দেখা গিয়েছিল খারসন অঞ্চলের হেনিচেস্ক শহরে। রুশ সেনার সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদমুখর ওই মহিলা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘কেন আপনি এখানে দাঁড়িয়ে আছেন?’ উত্তরে ওই সেনা জবাব দেন, ‘আপনি সরে যান এখান থেকে। আমরা পাহারা দিচ্ছি।’
রুশ ট্যাঙ্ককে রোখার চেষ্টা এক ইউক্রেনীয়র। ছবি সৌজন্য টুইটার।
যেতে হলে আমাকে আগে খতম করতে হবে। রুশ ট্যাঙ্কের সামনে বুক চিতিয়ে এমন ভঙ্গিতেই দাঁড়ালেন ইউক্রেনের এক নাগরিক। রুশ সেনাকে ঠেকাতে এ ভাবেই সাধারণ নাগরিকরা ইউক্রেনের রাস্তায় নেমে পড়েছেন। জন্মভূমিকে শত্রুপক্ষের হাতে থেকে বাঁচাতে তাঁরা নিজেদের জীবন দিতেও প্রস্তুত।
সম্প্রতি ইউক্রেনের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োটি চেরনিহিভ অঞ্চলের ছোট শহর বাকম্যাকের। শহরে একের পর এক রুশ ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি ঢুকতে শুরু করায় পাল্টা প্রতিরোধ গড়তে রাস্তায় নেমে পড়েছেন শহরবাসীরা। তেমনই এক শহরবাসীকে দেখা গেল চলমান রুশ ট্যাঙ্কের উপর লাফিয়ে উঠে পড়তে। তাঁকে তোয়াক্কা না করেই ট্যাঙ্ক এগিয়ে যাচ্ছিল।
ওই ব্যক্তিও নাছোড়। তাঁকে নিয়ে যখন ট্যাঙ্ক এগিয়ে যাচ্ছে, এ বার তিনি ট্যাঙ্ক থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়ে সামনে দাঁড়িয়ে পড়লেন। তার পরেও ট্যাঙ্ক এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই এ বার তিনি দু’হাতে ট্যাঙ্ক থামানোর চেষ্টা করেন। রুশ সেনাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি এগোতে হয় তা হলে আমার দেহের উপর দিয়ে যেতে হবে!
এর পরই ট্যাঙ্কের সামনে হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন ওই ব্যক্তি। তখন আশপাশে আরও শহরবাসী জুটে গিয়েছিলেন। সকলে একত্রে রুশ ট্যাঙ্কের অগ্রগতি আটকে দেন। রাশিয়ার হামলার তেজ যত বাড়ছে, ইউক্রেনের প্রতিরোধের ঝাঁঝও তত বাড়ছে। শুধু চেরনিহিভই নয়, খারকিভ, কিভ-সহ ইউক্রেনের অন্যান্য প্রান্তেও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ইউক্রেন। রুশ সেনার রক্তচক্ষুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাতে তুলে নিয়েছেন অস্ত্র। কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন।
শুক্রবার এমনই এক প্রতিবাদের দৃশ্য দেখা গিয়েছিল খারসন অঞ্চলের হেনিচেস্ক শহরে। রুশ সেনার সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদমুখর ওই মহিলা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘কেন আপনি এখানে দাঁড়িয়ে আছেন?’ উত্তরে ওই সেনা জবাব দেন, ‘আপনি সরে যান এখান থেকে। আমরা পাহারা দিচ্ছি।’ এর পরই মহিলা উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আপনারা দখলদার, ফ্যাসিস্ট! এই সব বন্দুক নিয়ে আপনি আমাদের দেশে কী করছেন?’ তার পর কোটের পকেট থেকে সূর্যমুখীর বীজ বের করে রুশ সেনার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘এগুলো পকেটে রাখুন। আপনি যখন এখানে মরে পড়ে থাকবেন, তখন বীজগুলি থেকে গাছ হবে। সূর্যমুখী ফুল ফুটবে।’’