ফাইল চিত্র।
ফের রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হানায় প্রাণ হারালো পাঁচ জন। গুরুতর আহত ২৫ জনেরও বেশি। মধ্য ইউক্রেনের ক্রোপেভেনেৎসকি শহরে বৃহস্পতিবার ঘটেছে এই হামলা। স্থানীয় গভর্নর আন্দ্রেই রাইকোভিচ জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হানার মূল লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের জাতীয় উড়ান সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালয়ের এয়ার হ্যাঙ্গারগুলি। বিস্ফোরণে সেগুলি প্রভূতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি, এ দিন রাজধানী কিভের বাইরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া। প্রশাসন সূত্রে খবর, বেশ কয়েক সপ্তাহ পরেই রাশিয়ার এই হামলা।
পাশাপাশি, রাশিয়া সূত্রে এ-ও জানানো হয়েছে, সোভিয়েত যুগের পরিচিত কয়লাক্ষেত্র ও বর্তমানে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র ভুহলেহার্স্ক দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। পাশাপাশি, মেলিটোপল, খেরশন ও জ়াপোরিজ়িয়াতে আরও সেনা পাঠানো হচ্ছে। ডনেৎস্ক ও মিকোলাইভ অঞ্চলে ইউক্রেনের ছ’টি অস্ত্রাগার ধ্বংস করা হয়েছে, এমনটাও দাবি করেছে রাশিয়া।
এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, রুশ অধিকৃত খেরশন শহরেই ধীরে ধীরে প্রতিরোধের দেওয়াল তৈরি করছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। যদিও তার অগ্রগতি বেশ ধীরগামী। মূলত বিস্ফোরণ ও বিক্ষিপ্ত আক্রমণের মাধ্যমে রুশ বাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করা হচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনার তরফে। খেরশনের উত্তর সীমান্ত কিছু জনবসতি ফের দখল করেছে তারা।
আমেরিকার বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রী সেরগেই লাভরভের সঙ্গে ফোনে বার্তালাপ করবেন তিনি। যুদ্ধ শুরুর পরে এই প্রথম হওয়া ফোনালাপে ইউক্রেন সংক্রান্ত আলোচনাইহবে মুখ্য।