প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ রুশ সাঁজোয়ার সারি। ছবি: ম্যাক্সার।
ইউক্রেনের রাজধানীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে রাশিয়ার পদাতিক সৈন্যের বড় একটি বহর। এক দিকে যখন ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার আলোচনার প্রস্তুতি চলছে, ঠিক তখনই কিভের পথে মস্কোর পাঠানো নতুন বাহিনীর ছবি ধরা পড়ল আমেরিকার কৃত্রিম উপগ্রহের তোলা ছবিতে।
সোমবার সকালে প্রকাশ্যে এসেছে ছবিটি। আমেরিকার ওই উপগ্রহচিত্রে নজর রাখছিল যে সংস্থাটি তারাই কিভের পথে চিহ্নিত করেছে রুশ সাঁজোয়া বাহিনীকে। প্রায় পাঁচ কিমি দীর্ঘ সেই সাঁজোয়া বাহিনী শেষ প্রকাশিত ছবি অনুযায়ী ছিল কিভ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে।
শেষ পাওয়া ছবিতে কিভ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ছিল রুশ পদাতিক বাহিনীর সাঁজোয়া। ছবি: ম্যাক্সার।
আমেরিকার সংস্থাটি জানিয়েছে, উপগ্রহের তোলা ছবি দেখে জানা গিয়েছে, রুশ পদাতিক বাহিনীর ওই নতুন বহরটি ইউক্রেনেরই শহর ইভানকিভের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে কিভের রাস্তা শেভচেঙ্কা রোড ধরেছে। উপগ্রহের তোলা ছবিটি প্রযুক্তির সাহায্যে আরও বড় করে দেখা গিয়েছে প্রায় পাঁচ কিমি রাস্তা জুড়ে কিভের দিকে এগোচ্ছে ওই বাহিনী। বাহিনীতে ট্যাঙ্ক, জ্বালানি গাড়ি, অস্ত্র সজ্জিত গাড়িও রয়েছে।
অন্য দিকে সূত্রে দাবি করা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী চেচেন যোদ্ধারাও এগোচ্ছে কিভের দিকে।
রবিবারই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং তার সমাধান নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে দু’দেশ। পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুসে হবে সেই আলোচনা। তবে তাতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা সক্রিয়তায় কোনও ফারাক পড়েনি। বদলে ইউক্রেনের রাজধানীর দখল নিয়ে নতুন করে সেনা পাঠাচ্ছে রাশিয়া।
নতুন বহরটি ইউক্রেনেরই শহর ইভানকিভের উত্তর-পূর্ব দিক থেকে কিভের রাস্তা শেভচেঙ্কা রোড ধরেছে। ছবি - রয়টার্স।
কিভে এখনও রয়েছেন বহু নাগরিক। রাশিয়া হঠাৎ আক্রমণ করলে কী হবে! কিভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো জানিয়েছেন, রাশিয়ার বাহিনী রাজধানী শহরের দিকে আসছে জেনেও নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাঁরা কিছু করতে পারছেন না। কারণ তাঁদের হাত বাঁধা। ভিতালি বলেছেন, যাঁরা আগে শহর ছেড়ে চলে গিয়েছেন, তাঁদের কথা আলাদা। যাঁরা যাননি তাঁদের আর কিভ থেকে বেরনোর কোনও উপায়ই নেই। কেন না শহরের চারপাশ ঘিরে রেখেছে পুতিনের বাহিনী।