গত বুধবার ফোনে কথা হয়েছিল চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির। পরের দিন বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন জানিয়েছিল, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব থামাতে তারা যে কোনও পদক্ষেপকে স্বাগত জানাতে রাজি। আর এর ঠিক এক দিনের মাথাতেই, আজ ভোররাত থেকে ইউক্রেনে শুরু হল রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রাজধানী কিভ থেকে শুরু করে মধ্য ও দক্ষিণ ইউক্রেন। অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি পশ্চিমের দেশগুলি থেকে বেশ কিছু অস্ত্রসাহায্য এসে পৌঁছেছে ইউক্রেনে। তার পর থেকেই হামলার গতি বাড়িয়েছে মস্কো। আজ মধ্য ইউক্রেনের উমান শহরে একটি আবাসনে এসে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় বাড়িটিতে। তিন জনের প্রাণ হারানোর খবর মিলেছে। জখম অন্তত ৮ জন। নিপ্রো শহরেও একটি বাড়িতে এসে পড়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। একটি শিশু ও এক তরুণী মারা গিয়েছেন। শহরের মেয়র বরিস ফিলাটোভ জানিয়েছেন, তিন জন গুরুতর জখম। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে কিভ-ও। রাজধানীর একাধিক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ‘শত্রুরা’। কিভ অঞ্চলেই ইউক্রেইনকা শহরে দু’জন জখম হয়েছেন। মাঝরাতে বিস্ফোরণের খবর মিলেছে মধ্য ইউক্রেনের ক্রেমেনচুক ও পোলটাভা শহর এবং দক্ষিণের শহর মিকোলিভ থেকে।
১৪ মাস হল, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এ পর্যন্ত পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের একাংশ দখল করা ছাড়া এ দেশে খুব বেশি এগোতে পারেনি রুশ বাহিনী। জ্বলছে বাখমুট শহরও। পূর্ব ইউক্রেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর এটি। একে দখল করতে পারলে পূর্ব ইউক্রেনের চাবিকাঠি হাতে চলে আসবে রাশিয়ার। স্বাভাবিক ভাবে ইউক্রেনীয় বাহিনীও জান লড়িয়ে দিচ্ছে, বাখমুট তারা হাতছাড়া হতে দেবে না। আজ অন্তত ২১টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। রাতভর চলতে থাকা ড্রোন হামলাও প্রতিহত করেছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলাচলেছে আজ।