প্রতীকী ছবি।
বুচা এবং মারিয়ুপোলের পর এ বার ইউক্রেনের রাজধানী কিভের শহরতলি এলাকায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ উঠল রুশ সেনার বিরুদ্ধে। বৃহত্তর কিভের পুলিশ প্রধান আন্দ্রে নেবিতভ শুক্রবার জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাজধানীর উপকণ্ঠের এলাকাগুলিতে এক হাজারেরও বেশি দেহের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা। তার মধ্যে ৩০০টি দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
কিভের অদূরে বোরোডিয়াঙ্কা শহরে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি গণকবরের সন্ধান মিলেছে। বৃহস্পতিবার একটি গণকবর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮০টি দেহ। তার মধ্যে অনেক শিশুর দেহ রয়েছে। প্রসঙ্গত, এপ্রিলের গোড়াতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন, বুচার থেকেও ভয়াবহ অবস্থা বোরোডিয়াঙ্কার। সে সেময়ই বুচা শহরে রুশ ফৌজের অত্যাচারের ভয়াবহতা প্রকাশ্যে এসেছিল। ইউক্রেন সেনার প্রত্যাঘাতে পিছু হটার সময় ওই শহরে রুশ বাহিনী গণহত্যা চালায় বলে অভিযোগ।
বুচা এবং সংলগ্ন এলাকাগুলিতে সব মিলিয়ে হাজারেরও বেশি সাধারণ নাগরিককে খুন করা হয়। মেলে একের পর এক গণকবর। মৃত মহিলাদের শরীরে পোড়া স্বস্তিক চিহ্নের দাগ এমনকি, ১০ বছরের বালিকার গোপনাঙ্গে আঘাত এবং অত্যাচারের চিহ্নও স্পষ্ট। যা দেখে সমালোচনার ঝড় ওঠে বিশ্বে।
দক্ষিণের বন্দরশহর মারিয়ুপোল, পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস (ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) এলাকাতেও রুশ ফৌজের নৃশংসতার ছবি সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। অভিযোগ, মারিয়ুপোলে রুশ অত্যাচারের বলি হয়েছেন কয়েক হাজার সাধারণ ইউক্রেনীয়। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ইউক্রেন সেনার প্রত্যাঘাতে পিছু হটার সময় ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
মৃতদেহগুলিতে অত্যাচারের চিহ্ন দেখে অনেকেই বলছেন, রাশিয়ার নিয়মিত সেনা (রেগুলার আর্মি) নয়, বুচায় গণহত্যা চালিয়েছে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাঠানো চেচেন যোদ্ধারা। চেচেনিয়ার মিলিশিয়া নেতা রমজান কাদিরভের বাহিনীর নৃশংসতার দুর্নাম রয়েছে বহু দিনই। চেচেনিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় মস্কো সমর্থক কাদিরভ-বাহিনী বহু সাধারণ নাগরিককে একই কায়দায় হাত বেঁধে খুন করেছিল। ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যমের দাবি। সম্প্রতি, কিভের শহরতলি থেকে পূর্বের ডনবাসে পাঠানো হয়েছে চেচেন বাহিনীকে।